বাংলাদেশের অর্থনীতির সবকিছু ঠিক নেই। বাংলাদেশ এখন সমস্যায় পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) বলেছে, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রা ‘টাকা’, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএফ থেকে এই বিবৃতি এসেছে সংস্থাটির সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর শেষ হওয়ার পর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আইএমএফ এর কাছ থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে এবং দেশটিতে অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়ছে। দেশটি ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইওন নিউজের এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছেঃ দুই সপ্তাহের আমদানি খরচ পরিশোধের পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৯.৮৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে যা বিগত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় পরের সপ্তাহে রপ্তানি ১৬.৫% কমে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে কারণ পোশাকের খুচরা বিক্রেতাদের অর্ডারও মন্থর হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স (যা দেশটির ব্যালেন্স অফ পেমেন্টকে সাহায্য করে) এপ্রিল মাসে আগের বছরের তুলনায় ১৬% হ্রাস পেয়ে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
আর, বাংলাদেশ এখন সমস্যায় পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। করোনা মহামারী বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আঘাত হানার পর থেকে একসময় শক্তিশালী উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত দেশটি সংগ্রাম করছে।
রপ্তানি হ্রাসের কারণে বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাসের অর্থ- ৩০ শে জুন শেষ হতে যাওয়া গত আর্থিক বছরের বর্তমান অ্যাকাউন্ট ঘাটতি রেকর্ড ১৮.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আইএমএফ এর দরবারে যাওয়া সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জ্বালানি তেলের দামও বাড়িয়েছে।