নিজস্ব প্রতিবেদক:: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, তা জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করছে জাপান। দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে, আজ রোববার সকাল ১০টা ৩ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, জাপান দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাই উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব ও পার্টনারশিপ অনেক পুরনো। জাপান বাংলাদেশের টপ পার্টনারশীপে অবস্থান করছে। ধরতে গেলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সবার উপরে। তাদের ব্যবসায়ীরা, তাদের সরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করছে, প্রজেক্টগুলোতে বিনিয়োগ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচন ব্যবস্থা, মানবাধিকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা- সেগুলো নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, জাপানেরও উদ্বেগ থাকার কথা। তারা জানতে চেষ্টা করছে আগামীতে বাংলাদেশে কী হতে যাচ্ছে, তা তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।’
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোন দেশে যাবেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে, না যাবে তা তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। একটি জাতি কোন দিকে যাবে তা তো প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে দিতে পারেন না।’