ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নাগরিক সেবা বাড়েনি

আজম রেহমান : আমরা যারা পৌরসভায় বাস করি তারা গ্রামীন জনপদের তুলনায় কিছুটা অভিজাত ও সম্মানীয়। সে জন্য অবশ্য আমাদের মাসুলও দিতে হয়।

স্থানীয় কালিবাড়ী বাজারটি আমাদের আভিজাত্য বজায় রাখতে বেশ সহায়তা করে। আমাদের আভিজাত্য প্রমানে সহায়তার জন্য আমামাদের সব জিনিষের দাম বেশি দামে কিনতে হয়। খুবই ছোট একটা উদাহরণ : রমজানের শুরুতে ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা নিকুজ্ঞ -২ এও সব জিনিষের দাম বেশী।  ১ কেজি স্ট্রবেরি ৩৫০ টাকা ,  মিরপুরে ও শাহবাগে ৩০০ টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে ৫০০-৬০০ টাকা।

কালিবাড়ী বাজারটি রাস্তার উপরে। রাস্তা তাদের দখলে , ফুটপাথের তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কতটা সহনীয় হলে বছরের পর বছর এটা মেনে নিয়ে চলছি। মাছের বাজারটা সরানো দরকার কি না , এই প্রশ্নটা ৩০ বছরের।

পৌরসভার রাস্তাঘাট , ড্রেন পরিস্কারের জন্য আপনি ট্যাক্স দিয়ে গর্বিত নাগরিক হবেন। শুধু রাস্তাঘাট চলাচলের উপযুক্ত ও পরিস্কার পাবেন না। মেয়রের বড়ো গাড়ী , কালো কাঁচে ঘেরা , গাড়ীতে রাস্তার সমস্যা বোঝা যায় না। তবে রিক্সা , অটোতে উঠলে বোঝা যায়।  বিল্ডিং যেমন বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয় তেমন বিষয় থাকলে অনেক আগেই রাস্তাগুলি চলাচলের অনুপযোগী ঘোষনা করা হতো।  তবে একটা বিষয় গর্ব করার মতো , তা হলো পৌরসভার রাস্তা যতই খারাপ হোক নাগরিকরা কিন্তু অসহিষ্ণু হয় না।

দেশের অন্যান্য পৌরসভার সুশীল সমাজ পরিদর্শনে আসতে পারেন এটা দেখার জন্য যে , ঠাকুরগাঁও শহরের মানুষ কত সহনশীল , সহজ সরল। যত সমস্যাই হোক তারা মুখ বুঁজে সহ্য করে। রাস্তা চলাচলে উপযুক্ততা হারালে  ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাজীপাড়া এলাকার ছাত্ররা নিজেরা রাস্তা মেরামত শুরু করেছিল। পৌরসভা তাদের কৈফিয়ত তলব করেছে এবং মেরামত কাজ বন্ধ করেছে। কেন না পৌরসভার কাজ অন্যেরা করবে তাতে পৌরসভার সম্মান হানি হতে পারে।

পৌরবাসী হলে আপনি ফুটপাথের কোন সুযোগ পাবেন না। কেন না ওটা দোকানদারদের মালামাল রাখার জন্য। এর অবশ্য কারণ রয়েছে , আপনি যাতে খুব সহজে রাস্তা থেকেই কেনাকাটা সারতে পারেন। রাস্তাঘাট দখলে রাখা বে-আইনী সেটা আপনি জানতে পারেন। কিন্তু যাদের জানার কথা তারা যেমন  জানে না , তেমনি যাদের ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখার আইনী দায়িত্ব তারা সে দায়িত্ব পালন করতে কেনো পারেনা এটা মিলিয়ন ডলারস কোশ্চেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সাপ্তাহিক সাফল্যের ফিরিস্তি  জানানোর জন্যে মিডিয়া সম্মেলন যতই করুক না কেন , চৌরাস্তার একঝাঁক পুলিশ পাহাড়া থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করলেও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা যে গড়ে ওঠেনি এটা বুঝতে কোন ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না।

কালীবাড়ী বাজারের শুরুতে নির্মান কাজ হচ্ছে, কয়েক মাস থেকে রাস্তার উপরে  নির্মান সামগ্রী রাখা আছে। ওটা যে সাধারণ মানুষের চলাচলের ব্যাঘাত ঘটছে , রমজানে তা প্রকট হয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। মহিলা ক্রেতারা কি যে দুর্দশার মধ্যে পড়ে তা বর্ননাতীত। যিনি এই মালামাল রেখেছেন, তিনি যে পৌরসভা এবং পুলিশের চেয়ে বেশ শক্তিশালী এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে।

পৃথিবীর কোথাও না থাকলেও কোন বিষয়ে নজির সৃষ্টি করে আমরা গর্বিত হতেই পারি এমনকি গিনেস বুকে নাম লেখানোর চেষ্টাও হতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কৃপণতা থাকা ঠিক নয়। সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের দুপাশে অভুতপুর্ব একটি স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। সুদৃশ্য প্লাটফর্ম বানানো হচ্ছে। প্লাস্টারের ভিতর দিয়ে বিদ্যুতের তার যাচ্ছে , ড্রেনের উপর টাইলস লাগানো হচ্ছে , এই ড্রেন নিশ্চয় অটো পরিষ্কার হবে , কারণ এই স্লাব তোলা যাবে না। ড্রেন কোন দিন পরিস্কার করতে হবে না? সম্ভবত পানি এই ড্রেনে আসবে না কেননা স্কুলের মাঠ এই ড্রেনের অনেক নীচে। পানিতো নীচ থেকে উপরে উঠবে না। এই মাঠ জলাবদ্ধতায়  যশোরের ভবদহ  বিলের মতো হলে প্রকৃতিকে দোষ দেওয়া যাবে না।  এটা করতে নিশ্চয় বিদেশ থেকে ট্রেনিং করে আসা প্রকৌশলীরা আছেন।

প্রাচীরতো প্রায় গোটা ঢেঁকে গেছে। এখন হয়তো প্রাচীর নুতন করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এই স্থাপনা কিভাবে কার্যকর হবে আমরা উম্মি লোকেরা বুঝতে পারছিনা। হয়তো সারপ্রাইজ দেওয়া হবে ঠাকুরগাঁওবাসীকে। হয়তো এমন হবে স্কুলের ছেলেরা ওয়াকওয়ে ছাড়া রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবেনা। তবে মূল রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া, এই পৃথিবী নামক গ্রহটার আর কোথাও আছে কিনা তা আমাদের জানা নাই।  এটা একটা নজির হবে বলে বলে আমরা পুলকিত হচ্ছি। কাঁটাতারের ভিতরে ফুলের বাগান , তার পরে ঘেরা সুদৃশ্য ওয়াক ওয়ে , ঠাকুরগাঁও শহরের এই অংশ পুত্রজায়া বানানোর প্রয়াস। নিশ্চয় এই স্থাপনার ডিজাইন যারা করেছেন, এই সব মেধাবীরা  পৃথিবীর কয়টা দেশের রাস্তাঘাট থেকে ট্রেনিং করে  এসেছেন তা জানতে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আর একটা বিষয় আমরা আজো বুঝতে পারিনি তা হলো , ঠাকুরগাঁও শহরের এই মেইন রোডটি পুর্ব পশ্চিমে যতটাই চওড়া হোকনা কেন , চৌরাস্তায় কেন সরু এ চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খায় , কেননা ফরমুলাতো বলে , এখানে রাস্তা আরো চওড়া হওয়ার কথা। নাকি কোন কারণে এখানকার জায়গাটা উদ্ধারের শক্তি প্রয়োগ এবং আইন কার্যকরী করা যায়নি?

পৌরসভার কাউন্সিলাররা বড্ড বেরসিক এবং অসহিষ্ণু।  না হলে তারা মেয়রের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দালন শুরু করেছে। এটা কেমন কথা। তাদের জানা উচিত তাদের আভ্যন্তরীন এই অসন্তোষে পৌরসভার ২ পক্ষেরই চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রকাশ পাবে এটা পৌরবাসী যতটা কম জানে ততই ভালো। এভাবে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারবেননা। তার চেয়ে কমবেশী করে উভয় পক্ষই সন্তষ্ট থাকেন অথবা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করে জানান আপনারা কেনো আন্দোলন করছেন?  আমাদেরকে এখনই বুঝতে দিন , না হলে আর ১৭ মাস পর তো আবার পৌরবাসীর দ্বারে আসতে হবে ভোট ভিক্ষা করতে।

পৌরসভার নির্বাচনে আগ্রহ কম থাকলেও আমরা আমায় বুক বেঁধেছিলাম । এখনতো নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গের যোগাড় হয়েছে। আমরা কোথায় যাই, কাকেই বা বলি। মেয়র ব্যর্থ হলে সরকারি দলকে দায় নিতে হবে কেন না মেয়র মনোনয়ন আমরা দিই না। এমপি সাহেবকে দায় নিতে হবে। কেন না তার অনুমোদন ছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাবে এ কথা বিশ্বাস করানোর কোন সুযোগ নাই। সরকারি দলকে দায় নিতে হবে , কেননা তাদের সুপারিশ ছাড়া মনোনয়ন বোর্ডে কারো পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয়। মনোনয়ন দিয়েছেন , পছন্দ করি না করি ভোট দিয়েছি , মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। এখনতো তিনি সরকারি দলীয় মেয়র। তিনি কাজ করছেননা বা করতে পারছেননা , না পারলে কেনো পারছেননা , কি করলে পারবেন সে বিষয় তো দলকেই ভাবতে হবে।  বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিন। পৌরবাসীকে সাথে রাখুন। বিরোধী দল সব সময় নির্বাচন করবেনা এমন নাও হতে পারে। সুতরাং দায় এড়াবেন না। সফলতা ব্যর্থতার দ্বায় এককভাবে মেয়রের নয় , দলেরও।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নাগরিক সেবা বাড়েনি

আপডেট টাইম ০২:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

আজম রেহমান : আমরা যারা পৌরসভায় বাস করি তারা গ্রামীন জনপদের তুলনায় কিছুটা অভিজাত ও সম্মানীয়। সে জন্য অবশ্য আমাদের মাসুলও দিতে হয়।

স্থানীয় কালিবাড়ী বাজারটি আমাদের আভিজাত্য বজায় রাখতে বেশ সহায়তা করে। আমাদের আভিজাত্য প্রমানে সহায়তার জন্য আমামাদের সব জিনিষের দাম বেশি দামে কিনতে হয়। খুবই ছোট একটা উদাহরণ : রমজানের শুরুতে ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা নিকুজ্ঞ -২ এও সব জিনিষের দাম বেশী।  ১ কেজি স্ট্রবেরি ৩৫০ টাকা ,  মিরপুরে ও শাহবাগে ৩০০ টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে ৫০০-৬০০ টাকা।

কালিবাড়ী বাজারটি রাস্তার উপরে। রাস্তা তাদের দখলে , ফুটপাথের তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কতটা সহনীয় হলে বছরের পর বছর এটা মেনে নিয়ে চলছি। মাছের বাজারটা সরানো দরকার কি না , এই প্রশ্নটা ৩০ বছরের।

পৌরসভার রাস্তাঘাট , ড্রেন পরিস্কারের জন্য আপনি ট্যাক্স দিয়ে গর্বিত নাগরিক হবেন। শুধু রাস্তাঘাট চলাচলের উপযুক্ত ও পরিস্কার পাবেন না। মেয়রের বড়ো গাড়ী , কালো কাঁচে ঘেরা , গাড়ীতে রাস্তার সমস্যা বোঝা যায় না। তবে রিক্সা , অটোতে উঠলে বোঝা যায়।  বিল্ডিং যেমন বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয় তেমন বিষয় থাকলে অনেক আগেই রাস্তাগুলি চলাচলের অনুপযোগী ঘোষনা করা হতো।  তবে একটা বিষয় গর্ব করার মতো , তা হলো পৌরসভার রাস্তা যতই খারাপ হোক নাগরিকরা কিন্তু অসহিষ্ণু হয় না।

দেশের অন্যান্য পৌরসভার সুশীল সমাজ পরিদর্শনে আসতে পারেন এটা দেখার জন্য যে , ঠাকুরগাঁও শহরের মানুষ কত সহনশীল , সহজ সরল। যত সমস্যাই হোক তারা মুখ বুঁজে সহ্য করে। রাস্তা চলাচলে উপযুক্ততা হারালে  ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাজীপাড়া এলাকার ছাত্ররা নিজেরা রাস্তা মেরামত শুরু করেছিল। পৌরসভা তাদের কৈফিয়ত তলব করেছে এবং মেরামত কাজ বন্ধ করেছে। কেন না পৌরসভার কাজ অন্যেরা করবে তাতে পৌরসভার সম্মান হানি হতে পারে।

পৌরবাসী হলে আপনি ফুটপাথের কোন সুযোগ পাবেন না। কেন না ওটা দোকানদারদের মালামাল রাখার জন্য। এর অবশ্য কারণ রয়েছে , আপনি যাতে খুব সহজে রাস্তা থেকেই কেনাকাটা সারতে পারেন। রাস্তাঘাট দখলে রাখা বে-আইনী সেটা আপনি জানতে পারেন। কিন্তু যাদের জানার কথা তারা যেমন  জানে না , তেমনি যাদের ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখার আইনী দায়িত্ব তারা সে দায়িত্ব পালন করতে কেনো পারেনা এটা মিলিয়ন ডলারস কোশ্চেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সাপ্তাহিক সাফল্যের ফিরিস্তি  জানানোর জন্যে মিডিয়া সম্মেলন যতই করুক না কেন , চৌরাস্তার একঝাঁক পুলিশ পাহাড়া থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করলেও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা যে গড়ে ওঠেনি এটা বুঝতে কোন ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না।

কালীবাড়ী বাজারের শুরুতে নির্মান কাজ হচ্ছে, কয়েক মাস থেকে রাস্তার উপরে  নির্মান সামগ্রী রাখা আছে। ওটা যে সাধারণ মানুষের চলাচলের ব্যাঘাত ঘটছে , রমজানে তা প্রকট হয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। মহিলা ক্রেতারা কি যে দুর্দশার মধ্যে পড়ে তা বর্ননাতীত। যিনি এই মালামাল রেখেছেন, তিনি যে পৌরসভা এবং পুলিশের চেয়ে বেশ শক্তিশালী এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে।

পৃথিবীর কোথাও না থাকলেও কোন বিষয়ে নজির সৃষ্টি করে আমরা গর্বিত হতেই পারি এমনকি গিনেস বুকে নাম লেখানোর চেষ্টাও হতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কৃপণতা থাকা ঠিক নয়। সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের দুপাশে অভুতপুর্ব একটি স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। সুদৃশ্য প্লাটফর্ম বানানো হচ্ছে। প্লাস্টারের ভিতর দিয়ে বিদ্যুতের তার যাচ্ছে , ড্রেনের উপর টাইলস লাগানো হচ্ছে , এই ড্রেন নিশ্চয় অটো পরিষ্কার হবে , কারণ এই স্লাব তোলা যাবে না। ড্রেন কোন দিন পরিস্কার করতে হবে না? সম্ভবত পানি এই ড্রেনে আসবে না কেননা স্কুলের মাঠ এই ড্রেনের অনেক নীচে। পানিতো নীচ থেকে উপরে উঠবে না। এই মাঠ জলাবদ্ধতায়  যশোরের ভবদহ  বিলের মতো হলে প্রকৃতিকে দোষ দেওয়া যাবে না।  এটা করতে নিশ্চয় বিদেশ থেকে ট্রেনিং করে আসা প্রকৌশলীরা আছেন।

প্রাচীরতো প্রায় গোটা ঢেঁকে গেছে। এখন হয়তো প্রাচীর নুতন করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এই স্থাপনা কিভাবে কার্যকর হবে আমরা উম্মি লোকেরা বুঝতে পারছিনা। হয়তো সারপ্রাইজ দেওয়া হবে ঠাকুরগাঁওবাসীকে। হয়তো এমন হবে স্কুলের ছেলেরা ওয়াকওয়ে ছাড়া রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবেনা। তবে মূল রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া, এই পৃথিবী নামক গ্রহটার আর কোথাও আছে কিনা তা আমাদের জানা নাই।  এটা একটা নজির হবে বলে বলে আমরা পুলকিত হচ্ছি। কাঁটাতারের ভিতরে ফুলের বাগান , তার পরে ঘেরা সুদৃশ্য ওয়াক ওয়ে , ঠাকুরগাঁও শহরের এই অংশ পুত্রজায়া বানানোর প্রয়াস। নিশ্চয় এই স্থাপনার ডিজাইন যারা করেছেন, এই সব মেধাবীরা  পৃথিবীর কয়টা দেশের রাস্তাঘাট থেকে ট্রেনিং করে  এসেছেন তা জানতে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আর একটা বিষয় আমরা আজো বুঝতে পারিনি তা হলো , ঠাকুরগাঁও শহরের এই মেইন রোডটি পুর্ব পশ্চিমে যতটাই চওড়া হোকনা কেন , চৌরাস্তায় কেন সরু এ চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খায় , কেননা ফরমুলাতো বলে , এখানে রাস্তা আরো চওড়া হওয়ার কথা। নাকি কোন কারণে এখানকার জায়গাটা উদ্ধারের শক্তি প্রয়োগ এবং আইন কার্যকরী করা যায়নি?

পৌরসভার কাউন্সিলাররা বড্ড বেরসিক এবং অসহিষ্ণু।  না হলে তারা মেয়রের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দালন শুরু করেছে। এটা কেমন কথা। তাদের জানা উচিত তাদের আভ্যন্তরীন এই অসন্তোষে পৌরসভার ২ পক্ষেরই চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রকাশ পাবে এটা পৌরবাসী যতটা কম জানে ততই ভালো। এভাবে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারবেননা। তার চেয়ে কমবেশী করে উভয় পক্ষই সন্তষ্ট থাকেন অথবা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করে জানান আপনারা কেনো আন্দোলন করছেন?  আমাদেরকে এখনই বুঝতে দিন , না হলে আর ১৭ মাস পর তো আবার পৌরবাসীর দ্বারে আসতে হবে ভোট ভিক্ষা করতে।

পৌরসভার নির্বাচনে আগ্রহ কম থাকলেও আমরা আমায় বুক বেঁধেছিলাম । এখনতো নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গের যোগাড় হয়েছে। আমরা কোথায় যাই, কাকেই বা বলি। মেয়র ব্যর্থ হলে সরকারি দলকে দায় নিতে হবে কেন না মেয়র মনোনয়ন আমরা দিই না। এমপি সাহেবকে দায় নিতে হবে। কেন না তার অনুমোদন ছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাবে এ কথা বিশ্বাস করানোর কোন সুযোগ নাই। সরকারি দলকে দায় নিতে হবে , কেননা তাদের সুপারিশ ছাড়া মনোনয়ন বোর্ডে কারো পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয়। মনোনয়ন দিয়েছেন , পছন্দ করি না করি ভোট দিয়েছি , মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। এখনতো তিনি সরকারি দলীয় মেয়র। তিনি কাজ করছেননা বা করতে পারছেননা , না পারলে কেনো পারছেননা , কি করলে পারবেন সে বিষয় তো দলকেই ভাবতে হবে।  বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিন। পৌরবাসীকে সাথে রাখুন। বিরোধী দল সব সময় নির্বাচন করবেনা এমন নাও হতে পারে। সুতরাং দায় এড়াবেন না। সফলতা ব্যর্থতার দ্বায় এককভাবে মেয়রের নয় , দলেরও।