রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ-প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির নির্দেশ তোয়াক্কা না করা অসহায় দুঃস্থ গরীব শ্রেণীর নারীদের অগ্রাধিকার না দিয়ে চাকুরীজীবি ব্যবসায়ী ও ধনী লোকের স্ত্রী মেয়েসহ স্বাবলম্বী নারীদের প্রশিক্ষণে নেওয়াসহ নিয়মবর্হিভূত ভাবে নিজের মনগড়া সিদ্বান্তে এক হাজার টাকা করে জামানাতের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার বিরুদ্বে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় অসহায় দুঃস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সমগ্র দেশের ৪২৬ টি উপজেলায় আয়বর্ধক প্রশিক্ষন(আইজি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে নারীদের তিন মাস করে বিশজন নারীকে দর্জি বিজ্ঞান ও বিউটিশিয়ানের কাজ সেখানো হবে। আর এর সমস্ত তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্ব স্ব উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের। সম্প্রতি এ নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে এবং তার কাছে অসহায় দুঃস্থদের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের উপর চটে যান। এবং বলেন নারী বাদে তো আর ছেলে নিয়োগ দেয়নি। আর আপনি এগুলো নিয়ে নিউজ করবেন তো করেন নিউজ করলে তো আরো ভাল হয়। এদিকে বর্তমানে দর্জি বিজ্ঞানে প্রশিক্ষনরত নারীদের পারিবারিক খোজ নিয়ে দেখা যায়, রানীশংকৈল থানার এস আই ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজান জাহান উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হকের মেয়ে ডলি আক্তার যদিও উপজেলা চেয়ারম্যানের মেয়ে ৩য় ব্যাচের জন্য চুড়ান্ত হয়েছিলেন তাও তিনি বর্তমানে ২য় ব্যাচের দর্জি বিজ্ঞানে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রশিক্ষন গ্রহণ করছেন। একইভাবে নিয়মভঙ্গ করে একটি পরিবার থেকে একাধিক নারীদেরও এ প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা। ভান্ডারা গ্রামের দানেশ আলীর দুই মেয়ে লাভলী আক্তার ও সিমা আক্তার দুই বোনই প্রশিক্ষণের জন্য চুড়ান্ত হয়েছেন। ১ম ব্যাচের পর ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষন চলছে এ প্রশিক্ষন শেষ হবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে। অভিযোগ রয়েছে নিয়মভঙ্গ করে ২য় ব্যাচের ২০ জনের নিকট নগদ একহাজার টাকা করে জামানত আদায় করেছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এছাড়া চলতি প্রশিক্ষনে গুটি কয়েকজন নারী রয়েছেন অসহায় ও দুঃস্থ শ্রেনীর তাও তারা প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছেন প্রভাবশালীদের সুপারিশে। নিয়মনুযায়ী ৩য় ও৪র্থ ব্যাচের তালিকা করা হয়েছে এ তালিকাও রয়েছে প্রভাবশালীদের স্ত্রী কন্যাদের নাম। এদিকে অভিযোগ রয়েছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করিয়ে দেওয়ার নামে অসহায় ও দুস্থ নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে উৎকোচ আদায় করে থাকেন। প্রভাবশালীদের সুপারিশ আর উৎকোচের বিনিময় ছাড়া অসহায় ও দুঃস্থ নারীরা এ প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ভাইসচেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল বলেন, যাচাই বাছাইয়ে আমার সিদ্বান্তকে অমান্য করে তালিকা তৈরী করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি তার ইচ্ছেমত তালিকা তৈরী করেন। তাই এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু বলতে পারছি না আপনি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে গিয়ে বলেন কেন উনি এমন অনিয়ম করছেন?
সংবাদ শিরোনাম
প্রসঙ্গ-জাইকা প্রকল্প: নিউজ করলে আরো ভালো হয়
- সংবাদ সারাদিন ডেস্ক :
- আপডেট টাইম ০৪:২৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৮
- ২৮০ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ