খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সাঁড়াশি অভিযান চালায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর অভিযানে সফল হয় পুলিশ। চা বাগান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ম্যানেজার পানু মোদককে (২৮) উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ২ অপহরণকারীকে আটকও করা হয়।
অন্যদিকে কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার পানু মোদককে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চুনারুঘাটের পশ্চিম পাকুরিয়া গ্রামের মোহন মোদকের পুত্র।
পানু মোদকের সঙ্গে হাসপাতালে আসা তার ভাই উকিল মোদক জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের চুনারুঘাটের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আশরাফুল ইসলাম জুয়েল নামে এক ব্যবসায়ী একটি প্যাকেট এনে কুরিয়ার করেন। ওই প্যাকেটের প্রেরকের নাম ছিল ‘গ্রীন এন্টারপ্রাইজ চুনারুঘাট’ এবং প্রাপকের ঠিকানা দেয়া হয় ঢাকার একটি এন্টারপ্রাইজ।
ওইদিন বিকালে চুনারুঘাট থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে প্যাকেটটি নিয়ে নতুন ব্রিজ আসার পর তাদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে প্যাকেটটি খুলে দেখেন ভারতীয় চা পাতা ও বোমা তৈরির পাউডার। এ সময় কুরিয়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আশরাফুল ইসলাম জুয়েলকে খবর দিলে তিনি পানু মোদকের ভাইসহ কর্মচারীদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ এসে প্যাকেটটি জব্দ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনারই জের ধরে মঙ্গলবার তার ভাই পানু মোদককে চুনারুঘাট সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকেই অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। বিষয়টি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের চুনারুঘাট শাখার মালিক ফজলু মিয়া তাৎক্ষণিক চুনারুঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি টিমে অভিযানে নামে। অভিমানের এক পর্যায়ে আমতলি কাপাইছড়া চা বাগান এলাকায় হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পানু মোদককে উদ্ধার করে।
অপরদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশরাফুল ইসলাম জুয়েল ও এক সিএনজি চালককে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ভিকটিম সুস্থ হলে তার জবানবন্দি নিয়ে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।