আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: ক্রিকেটের প্রতি অমিতাভ বচ্চনের ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তেই তাঁর দেশ খেলুক না কেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও সেই খেলা উপভোগের চেষ্টা করেন ‘বিগ বি’। তাঁর ক্রিকেটপ্রেম ফুটে ওঠে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। তিনি খেলা নিয়ে মন্তব্য করেন। ভালো খেলাকে অভিনন্দিত করেন আন্তরিকতার সঙ্গেই।
গতকাল নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের খেলা ছিল না। তারা আগেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। গতকাল ফাইনালে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে প্রেমাদাসায় লড়ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের অঘোষিত ‘সেমিফাইনাল’ হয়ে ওঠা এই ম্যাচে কত নাটকীয় ঘটনাই না ঘটল। খেলোয়াড়েরা মাথা গরম করলেন, একে অন্যের সঙ্গে লিপ্ত হলেন বচসায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাচ বয়কটের ডাকও দিলেন। শেষতক ম্যাচ বয়কটের মতো বাজে ঘটনা না ঘটলেও এক বল বাকি থাকতে শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াই বাংলাদেশ জিতে নিল মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ এক ছক্কায়। অমিতাভ বচ্চন খেলাটি উপভোগ করেছেন প্রাণভরেই।ম্যাচ শেষ টুইটারে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচটির যে তিনি দারুণ উপভোগ করেছেন, সেটি ফুটে উঠেছে তাঁর টুইটেই, ‘ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি কী দুর্দান্তই না হলো!’
বাংলাদেশের এই জয়কে তিনি বলেছেন ‘অবিশ্বাস্য’ই। বাংলাদেশকে অবশ্য তিনি টুইটের এই জায়গায় ‘বাংলা’ বলছেন, ‘“বাংলা”র অবিশ্বাস্য জয়।’
ম্যাচের শেষ দিকে খেলোয়াড়দের আবেগ, দুই দলের খেলোয়াড়দের মাথা গরমের প্রবণতা—সবকিছুর উল্লেখ করেই বাংলাদেশ দলকে শ্রদ্ধা তাঁর, ‘ম্যাচের শেষ কটি বলে খেলোয়াড়দের আবেগী আচরণ, মাথা গরম ও তর্ক-বিতর্কের পরেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচটা খেলেই জিতেছে। ওদের শ্রদ্ধা!’
ক্রিকেট নিয়ে অমিতাভ বরাবরই বেশ আবেগপ্রবণ। এর আগে ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের রোমাঞ্চকর জয়ের পর দেশের ধারাভাষ্যকারদের সমালোচনা করে বলিউড কিংবদন্তি টুইট করেছিলেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে বলছি, ভারতীয় ধারাভাষ্যকেরা অন্যদের নিয়ে সারাক্ষণ কথা না বলে আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে বেশি বললে ভালো হয়।’ অমিতাভের সেই টুইটে পরোক্ষ সমর্থন জানিয়ে তখনকার ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি রি–টুইট করেছিলেন, ‘কিছুই বলার নেই।’
অমিতাভ নির্দিষ্ট কোনো ধারাভাষ্যকারের নাম না বললেও চাপটা টের পেয়েছিলেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হর্শা ভোগলে। ভারতের সংবাদমাধ্যমের মতে, পরে ধারাভাষ্যকার হিসেবে হর্শার আইপিএল চুক্তি বাতিল হওয়ার পেছেন ভূমিকা রেখেছিল অমিতাভের সেই টুইট।