অনলাইন ডেস্ক:: সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য বিলাসবহুল ২৬১টি জিপ গাড়ি কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা।
বুধবার (১১ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার অতিরিক্ত দামে এসব গাড়ি কেনা হবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যে কয়টি প্রস্তাব উঠেছিল সবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়ছে।’ জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ডিসি ও ইউএনওদের ২৬১টি জিপ গাড়ি কেনা সংক্রান্ত এই একটি প্রস্তাবই ছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি আনা হয়।
অন্যদিকে টেবিলের একটি প্রস্তাবসহ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। এই ১৫টি প্রস্তাবই মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন দেওয়া প্রস্তাবগুলোর মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৯০৮ কোটি ৫৮ হাজার ৪৪০ টাকা।
এর আগে সম্প্রতি ডিসি ও ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি কেনার জন্য যানবাহন অধিদপ্তরের চাহিদাপত্র জনপ্রশাসনের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই চাহিদাপত্র অনুযায়ী, ডিসিদের জন্য গাড়ি কেনা হবে ৬১টি। প্রতিটি গাড়ি কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ৬১টি গাড়ি কিনতে মোট ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
আর ইউএনওদের ব্যবহারের জন্য কেনা হবে ২০০ গাড়ি। প্রতিটি গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। ফলে ২০০টি গাড়ি কিনতে মোট লাগবে ২৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মাধ্যমে এসব গাড়ি কেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব জিপ গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা হিসেবে চাহিদাপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ মাঠপর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে এসব গাড়ির প্রয়োজন হবে।