ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন। তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আগামীকাল ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে, তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এ ছাড়া যুবলীগ নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। তাদের এ আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায় জনগণ। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে নূর হোসেনসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। বাসস।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৪২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন। তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আগামীকাল ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌঁছে, তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এ ছাড়া যুবলীগ নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। তাদের এ আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায় জনগণ। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে নূর হোসেনসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। বাসস।