স্টাফ রিপোর্টার:: ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদ হবে এবার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক নয়, সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঈদ হবে এবার। কারণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারাবন্দী রাখা হয়েছে, কারণ গণতন্ত্রহীন দেশে অশান্তি, প্রতিহিংসা, হানাহানি ও বিচারহীনতার রাজত্ব কায়েম রাখার জন্য। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের ধারাবাহিকতায় আপোষহীন প্রত্যয়দৃঢ়, অকপট ও প্রতিবাদী দেশনেত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেয়ার জন্যই বন্দী করে রাখা হয়েছে, একটা চিরস্থায়ী জমিদারী শাসন কায়েম রাখার জন্য। এই পরিস্থিতিতে একদলীয় বাকশালী সরকারের কবলে পড়ে দেশ এখন এক চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত। তাই বেশীর ভাগ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই।
রিজভী বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কোটি কোটি কৃষকের ঘরে ঘরে কোন ঈদ আনন্দ নেই। বেশীর ভাগ মানুষের পকেটে টাকা না থাকায় মার্কেটগুলো প্রায় ফাঁকা, বেচাকেনা নেই সেটি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। সুতরাং তাদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই। এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকরা এখনও বেতন-বোনাস পাননি।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের ধারাবাহিকতায় আপোষহীন প্রত্যয়দৃঢ়, অকপট ও প্রতিবাদী দেশনেত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেয়ার জন্যই বন্দী করে রাখা হয়েছে, একটা চিরস্থায়ী জমিদারী শাসন কায়েম রাখার জন্য। এই পরিস্থিতিতে একদলীয় বাকশালী সরকারের কবলে পড়ে দেশ এখন এক চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত। তাই বেশীর ভাগ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই।
রিজভী বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কোটি কোটি কৃষকের ঘরে ঘরে কোন ঈদ আনন্দ নেই। বেশীর ভাগ মানুষের পকেটে টাকা না থাকায় মার্কেটগুলো প্রায় ফাঁকা, বেচাকেনা নেই সেটি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। সুতরাং তাদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই। এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকরা এখনও বেতন-বোনাস পাননি।
তাদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই। বিদেশ থেকে অনেক প্রবাসীর টাকা আসতো বাংলাদেশে, এখন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এবং অন্যান্য দেশ থেকে কাজ না থাকায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। দেশে কোটি কোটি যুবক বেকার। তাদের কোন কাজ নেই, আয়ও নেই। তাদের ঘরেও ঈদের আনন্দ নেই। শেয়ার বাজার বারবার ধ্বসের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পূঁজিসহ সব নিঃশেষ হয়ে গেছে, তাদের ঘরেও ঈদ আনন্দ নেই। বিএনপিসহ বিরোধীদলের ৫০ লক্ষ নেতাকর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, তারা বাড়িছাড়া, ঘরছাড়া অথবা কারাগারে, তাদের ঘরেও ঈদ আনন্দ নেই।
বর্তমান দু:শাসনের কবলে পড়ে হাজার হাজার মানুষ গুম-খুনের শিকার, নারী-শিশুরা খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার, তাদের পরিবারেও ঈদের আনন্দ নেই। সুতরাং স্বস্তির ঈদ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চরম মিথ্যাচার, অনুশোচনাহীনতা ও নির্যাতিত মানুষদের প্রতি ইতিহাসের সেরা তামাশা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, র্যাব এর মহাপরিচালক বলেছেন- গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে ৩০০ জন পলাতক রয়েছেন। তিনি আরও বলেন- ২০১৬ সালের ওই হামলার পর গ্রেপ্তারকৃত ৫১২ জন জঙ্গির মধ্যে ৩০০ জন জামিনে রয়েছেন। তিনি বলেছেন- জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশ এখন পলাতক। র্যাব এর মহাপরিচালকের বক্তব্য শুনে সারাজাতি বিস্মিত ও স্তম্ভিত। জঙ্গিরা জামিন পাচ্ছে কিভাবে? কারণ আমরা জানি নিম্মআদালত সম্পূর্ণরূপে সরকারের করায়ত্ত্বে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, বরেণ্য আইনজীবী কেউই নি¤œ আদালত থেকে জামিন পান না। তাহলে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিম্মআদালত থেকে কিভাবে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় জড়িত জঙ্গিরা জামিন পাচ্ছে? সরকার জঙ্গি দমনের নামে যা করছে তা পরিকল্পিত নাটক কি না তা নিয়ে জনমনে দীর্ঘদিন থেকে সংশয় রয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্যে সেই সংশয় আরও গভীর থেকে গভীরতর হলো। আসলে জঙ্গি দমনের নামে কোন খেলাধুলা চলছে কি না সেই প্রশ্নও মানুষের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। কোন সহানুভুতি লাভের জঙ্গি দমনের নামে রুপকথার সিন্দাবাদের দৈত্যের কাহিনী রচনা করা হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নটিও আরও দীর্ঘতর হলো র্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, সত্য ও ইতিহাস এখন বাকশালী হুকুমের কাছে বন্দী। আওয়ামী ম্যানুফ্যাকচার্ড ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সেই লেখক কিংবা ইতিহাসবিদকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। বই প্রকাশের ৫ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার এবং বর্ষিয়ান সাবেক মন্ত্রীকে যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে সেটি জনগণের কাছে খুবই পরিস্কার। এর আগে কখনো আদালতকে ব্যবহার করে আবার কখনো গোয়েন্দাদের ব্যবহার করে মুক্তমনের বিবেকবান কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, জীবনী লেখক, ইতিহাসবিদদের ওপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে লিখিত গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায় পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগারদের প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকার সত্য ইতিহাস যখন বিভিন্ন লেখকের লেখায় ফুটে উঠে তখন তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য অবৈধ ক্ষমতার দম্ভে ও গর্বে আত্মস্ফীত আওয়ামী সরকার বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং সেই লেখকদের নানাভাবে বাধ্য করে লেখার ঐ অংশটুকু মুছে ফেলতে। জনগণকে দু:শাসনের দূর্বিষহ জীবন-যাপনে বাধ্য করে এখন আদালত ও হুমকি দিয়ে ইতিহাসের সত্য উচ্চারণকে ঢেকে রাখা যাবে না। কারণ একজন বিখ্যাত কবি বলেছেন, ইতিহাসের আনন্দিত উচ্চারণ কবিতা। জবরদস্তিমূলকভাবে ইতিহাস রচনা করলে তা আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। সত্য উচ্চারণের ইতিহাস জানতে জনগণকে সংবৃত করা অসম্ভব। দুর্নীতি, গুম, গুপ্তহত্যা, চাপ ও হুমকির বাতাবরণের মধ্যেও ইতিহাসে সত্য প্রকাশ অবধারিত।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া,নাজমুল হক নান্ন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান দু:শাসনের কবলে পড়ে হাজার হাজার মানুষ গুম-খুনের শিকার, নারী-শিশুরা খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার, তাদের পরিবারেও ঈদের আনন্দ নেই। সুতরাং স্বস্তির ঈদ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চরম মিথ্যাচার, অনুশোচনাহীনতা ও নির্যাতিত মানুষদের প্রতি ইতিহাসের সেরা তামাশা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, র্যাব এর মহাপরিচালক বলেছেন- গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে ৩০০ জন পলাতক রয়েছেন। তিনি আরও বলেন- ২০১৬ সালের ওই হামলার পর গ্রেপ্তারকৃত ৫১২ জন জঙ্গির মধ্যে ৩০০ জন জামিনে রয়েছেন। তিনি বলেছেন- জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশ এখন পলাতক। র্যাব এর মহাপরিচালকের বক্তব্য শুনে সারাজাতি বিস্মিত ও স্তম্ভিত। জঙ্গিরা জামিন পাচ্ছে কিভাবে? কারণ আমরা জানি নিম্মআদালত সম্পূর্ণরূপে সরকারের করায়ত্ত্বে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, বরেণ্য আইনজীবী কেউই নি¤œ আদালত থেকে জামিন পান না। তাহলে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিম্মআদালত থেকে কিভাবে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় জড়িত জঙ্গিরা জামিন পাচ্ছে? সরকার জঙ্গি দমনের নামে যা করছে তা পরিকল্পিত নাটক কি না তা নিয়ে জনমনে দীর্ঘদিন থেকে সংশয় রয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্যে সেই সংশয় আরও গভীর থেকে গভীরতর হলো। আসলে জঙ্গি দমনের নামে কোন খেলাধুলা চলছে কি না সেই প্রশ্নও মানুষের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। কোন সহানুভুতি লাভের জঙ্গি দমনের নামে রুপকথার সিন্দাবাদের দৈত্যের কাহিনী রচনা করা হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নটিও আরও দীর্ঘতর হলো র্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, সত্য ও ইতিহাস এখন বাকশালী হুকুমের কাছে বন্দী। আওয়ামী ম্যানুফ্যাকচার্ড ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সেই লেখক কিংবা ইতিহাসবিদকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। বই প্রকাশের ৫ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার এবং বর্ষিয়ান সাবেক মন্ত্রীকে যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে সেটি জনগণের কাছে খুবই পরিস্কার। এর আগে কখনো আদালতকে ব্যবহার করে আবার কখনো গোয়েন্দাদের ব্যবহার করে মুক্তমনের বিবেকবান কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, জীবনী লেখক, ইতিহাসবিদদের ওপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে লিখিত গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায় পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগারদের প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকার সত্য ইতিহাস যখন বিভিন্ন লেখকের লেখায় ফুটে উঠে তখন তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য অবৈধ ক্ষমতার দম্ভে ও গর্বে আত্মস্ফীত আওয়ামী সরকার বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং সেই লেখকদের নানাভাবে বাধ্য করে লেখার ঐ অংশটুকু মুছে ফেলতে। জনগণকে দু:শাসনের দূর্বিষহ জীবন-যাপনে বাধ্য করে এখন আদালত ও হুমকি দিয়ে ইতিহাসের সত্য উচ্চারণকে ঢেকে রাখা যাবে না। কারণ একজন বিখ্যাত কবি বলেছেন, ইতিহাসের আনন্দিত উচ্চারণ কবিতা। জবরদস্তিমূলকভাবে ইতিহাস রচনা করলে তা আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। সত্য উচ্চারণের ইতিহাস জানতে জনগণকে সংবৃত করা অসম্ভব। দুর্নীতি, গুম, গুপ্তহত্যা, চাপ ও হুমকির বাতাবরণের মধ্যেও ইতিহাসে সত্য প্রকাশ অবধারিত।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া,নাজমুল হক নান্ন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।