সারাদিন ডেস্ক:: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল ডা. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরপর অনেকটা সময় কেটে গেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর গত ৯ মাসেও এই জোটের পক্ষ থেকে কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি দেখা যায়নি। উল্টো জোটের অন্যতম শরীক বিএনপি ও গণফোরামের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দিয়েছেন। তবে এবার এতোদিন পর হঠাৎ করেই সরকারের পদত্যাগ চেয়ে বসলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঐকফ্রন্টের পক্ষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়ার সই করা এক যৌথবিবৃতিতে বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উত্থাপিত দাবি তিনটি হলো-
১. বর্তমান অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার ঘোষণা।
২. খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তিসহ বিদ্যমান রাজনীতি ও শাসনতান্ত্রিক সংকট নিরসনে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে নিয়ে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে পথ নির্ধারণ।
৩. বর্তমান সরকারের গুম-খুনসহ রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি এবং দুর্নীতি-লুটপাট তদন্তে গ্রহণযোগ্য জাতীয় কমিশন গঠন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত শাসন-প্রশাসন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার, সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনর্বহাল ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ দাবি সরকারের মেনে নেওয়া উচিত।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনের পুলিশি অভিযানে রাষ্ট্রের ক্ষত ও বেআইনি কার্যকলাপের চিত্র এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনে অবাধ বাণিজ্য, আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করার যে রূপ প্রকাশিত হয়েছে, তা ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর। কেবল সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদতে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এই ধরনের অনিয়ম-অপকর্ম সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গিয়ে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্র বড় ধরনের অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়বে।