তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পিএসসির চেয়ারম্যানকে বলেছি আমাদের আর প্রধান শিক্ষক লাগবে না। সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এখন পুরোটাই পাবেন সহকারী শিক্ষকরা।
প্রাথমিক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ প্রাথমিকের গেজেটেড ও নন গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের পর শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী দুটি বিধিমালার সমন্বয়ে একটি নতুন বিধিমালা করা হবে। এক বিধিমালার আওতায় শিক্ষক ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। পিয়ন থেকে শুরু হবে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালক পর্যন্ত একটি বিধিমালার আওতায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
শিগগিরই সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালার খসড়া করে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। খসড়া বিধিমালা ও প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘আগামী অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিধিমালা করে যেতে পারবো। তাহলে পদোন্নতিতে শিক্ষকদের কোনও সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া চলতি দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে যারা যোগ্য তাদের প্রধান শিক্ষক করে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ গণমাধ্যমকে বলেন, এমএলএস থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত একটা নিয়োগ বিধিমালার আওতায় সবার জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যান করা হচ্ছে। এটি মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি শিগগিরই জনপ্রশাসনে পাঠানো সম্ভব হবে।