ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:কক্সবাজারের ওসি প্রদীপের ঘটনার পর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলার পীরগন্জ থানা চত্বরে ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানী,অর্থছাড়া মামলা রুজু না করা এবং বিনা কারণে দুর্ব্যবহার করার বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করেন রংপুর ডিআইজি অফিসের নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক।
স্থানীয়রা জানান,ওসি প্রদীপ কুমার রায় পীরগন্জ থানায় যোগদানের পর থেকে স্থানীয় লোকজনকে অকারণে হয়রানি করতে থাকেন।স্থানীয় লোকজন জমিজমা বা পারিবারিক কলহে কিংবা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে বেশিরভাগ মানুষকে আইনি সেবা না দিয়ে হয়রানী করেন।এ কারণে অনেকেই সুষ্ঠু বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়।
জেলার পীরগন্জ উপজেলার সেনগাঁও গ্রামের সোবাহানের কন্যা লিজা আখতার (৩০) তার স্বামী মোহাম্মদ আলী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু ওসি প্রদীপ রায় নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজুৃ না করে কিংবা কোন প্রতিকার না দিয়েই তাকে দিনের পর দিন হয়রানি করেন।এ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ দুপুরে নির্যাতিতা লিজার সঙ্গে থানায় যান স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা।এ ঘটনায় থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় ওই মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেন।এ অবস্থায় নির্যাতিতা লিজা আখতার ন্যায় বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়ে পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভনি রিপা ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের ডিআইজি, আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রংপুর ডিআইজি অফিস হতে নিয়োজিত তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক পীরগন্জ থানা চত্বরে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সংবাদপত্রকর্মীদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে সমাজসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় নির্বাচিত জয়িতা ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দেশে প্রদীপ নামের ওসিদের অপতৎপরতা এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল যে, তারা সাধারণ মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করতো না, সম্মানিত নাগরিকদের অসম্মান করতেও কুন্ঠা বোধ করতো না এসব অসৎ ও বদরাগী ওসিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম ১১:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:কক্সবাজারের ওসি প্রদীপের ঘটনার পর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলার পীরগন্জ থানা চত্বরে ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানী,অর্থছাড়া মামলা রুজু না করা এবং বিনা কারণে দুর্ব্যবহার করার বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করেন রংপুর ডিআইজি অফিসের নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক।
স্থানীয়রা জানান,ওসি প্রদীপ কুমার রায় পীরগন্জ থানায় যোগদানের পর থেকে স্থানীয় লোকজনকে অকারণে হয়রানি করতে থাকেন।স্থানীয় লোকজন জমিজমা বা পারিবারিক কলহে কিংবা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে বেশিরভাগ মানুষকে আইনি সেবা না দিয়ে হয়রানী করেন।এ কারণে অনেকেই সুষ্ঠু বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়।
জেলার পীরগন্জ উপজেলার সেনগাঁও গ্রামের সোবাহানের কন্যা লিজা আখতার (৩০) তার স্বামী মোহাম্মদ আলী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু ওসি প্রদীপ রায় নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজুৃ না করে কিংবা কোন প্রতিকার না দিয়েই তাকে দিনের পর দিন হয়রানি করেন।এ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ দুপুরে নির্যাতিতা লিজার সঙ্গে থানায় যান স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা।এ ঘটনায় থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় ওই মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেন।এ অবস্থায় নির্যাতিতা লিজা আখতার ন্যায় বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়ে পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভনি রিপা ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের ডিআইজি, আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রংপুর ডিআইজি অফিস হতে নিয়োজিত তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক পীরগন্জ থানা চত্বরে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সংবাদপত্রকর্মীদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে সমাজসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় নির্বাচিত জয়িতা ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দেশে প্রদীপ নামের ওসিদের অপতৎপরতা এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল যে, তারা সাধারণ মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করতো না, সম্মানিত নাগরিকদের অসম্মান করতেও কুন্ঠা বোধ করতো না এসব অসৎ ও বদরাগী ওসিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।