ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে বন্ধুর ছরিকাঘাতে বন্ধু খুন,ঘাতক গ্রেপ্তার বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে সীমান্তে হত্যার কড়া প্রতিবাদ কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শিল্পপতির চাঁদাবাজী মামলা ‘সেভ পীরগঞ্জ’ গ্রুপের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতে যাওয়ার সময় দানাজপুর সীমান্তে ৩ টি মোটর সাইকেল সহ ৪ যুবক আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মানবজমিনের রেজাউল পীরগঞ্জে শতবর্ষী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নিতীর হোতাদের বিচারের দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ মুসলিমদের উপর যে তান্ডব চলেছে, হিন্দুদের উপর তার ছিটেফোটাও হয়নি- হিন্দু বৌদ্ধ কৃষ্টান কল্রান ফান্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো ঢাকা মেডিকেলে

পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:কক্সবাজারের ওসি প্রদীপের ঘটনার পর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলার পীরগন্জ থানা চত্বরে ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানী,অর্থছাড়া মামলা রুজু না করা এবং বিনা কারণে দুর্ব্যবহার করার বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করেন রংপুর ডিআইজি অফিসের নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক।
স্থানীয়রা জানান,ওসি প্রদীপ কুমার রায় পীরগন্জ থানায় যোগদানের পর থেকে স্থানীয় লোকজনকে অকারণে হয়রানি করতে থাকেন।স্থানীয় লোকজন জমিজমা বা পারিবারিক কলহে কিংবা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে বেশিরভাগ মানুষকে আইনি সেবা না দিয়ে হয়রানী করেন।এ কারণে অনেকেই সুষ্ঠু বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়।
জেলার পীরগন্জ উপজেলার সেনগাঁও গ্রামের সোবাহানের কন্যা লিজা আখতার (৩০) তার স্বামী মোহাম্মদ আলী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু ওসি প্রদীপ রায় নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজুৃ না করে কিংবা কোন প্রতিকার না দিয়েই তাকে দিনের পর দিন হয়রানি করেন।এ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ দুপুরে নির্যাতিতা লিজার সঙ্গে থানায় যান স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা।এ ঘটনায় থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় ওই মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেন।এ অবস্থায় নির্যাতিতা লিজা আখতার ন্যায় বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়ে পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভনি রিপা ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের ডিআইজি, আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রংপুর ডিআইজি অফিস হতে নিয়োজিত তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক পীরগন্জ থানা চত্বরে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সংবাদপত্রকর্মীদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে সমাজসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় নির্বাচিত জয়িতা ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দেশে প্রদীপ নামের ওসিদের অপতৎপরতা এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল যে, তারা সাধারণ মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করতো না, সম্মানিত নাগরিকদের অসম্মান করতেও কুন্ঠা বোধ করতো না এসব অসৎ ও বদরাগী ওসিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে বন্ধুর ছরিকাঘাতে বন্ধু খুন,ঘাতক গ্রেপ্তার

পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম ১১:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:কক্সবাজারের ওসি প্রদীপের ঘটনার পর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগন্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলার পীরগন্জ থানা চত্বরে ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানী,অর্থছাড়া মামলা রুজু না করা এবং বিনা কারণে দুর্ব্যবহার করার বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করেন রংপুর ডিআইজি অফিসের নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক।
স্থানীয়রা জানান,ওসি প্রদীপ কুমার রায় পীরগন্জ থানায় যোগদানের পর থেকে স্থানীয় লোকজনকে অকারণে হয়রানি করতে থাকেন।স্থানীয় লোকজন জমিজমা বা পারিবারিক কলহে কিংবা স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে বেশিরভাগ মানুষকে আইনি সেবা না দিয়ে হয়রানী করেন।এ কারণে অনেকেই সুষ্ঠু বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়।
জেলার পীরগন্জ উপজেলার সেনগাঁও গ্রামের সোবাহানের কন্যা লিজা আখতার (৩০) তার স্বামী মোহাম্মদ আলী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু ওসি প্রদীপ রায় নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজুৃ না করে কিংবা কোন প্রতিকার না দিয়েই তাকে দিনের পর দিন হয়রানি করেন।এ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ দুপুরে নির্যাতিতা লিজার সঙ্গে থানায় যান স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা।এ ঘটনায় থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় ওই মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেন।এ অবস্থায় নির্যাতিতা লিজা আখতার ন্যায় বিচার পাওয়া হতে বন্চিত হয়ে পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভনি রিপা ওসি প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের ডিআইজি, আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রংপুর ডিআইজি অফিস হতে নিয়োজিত তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তরিক পীরগন্জ থানা চত্বরে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ও সংবাদপত্রকর্মীদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে সমাজসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় নির্বাচিত জয়িতা ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দেশে প্রদীপ নামের ওসিদের অপতৎপরতা এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল যে, তারা সাধারণ মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করতো না, সম্মানিত নাগরিকদের অসম্মান করতেও কুন্ঠা বোধ করতো না এসব অসৎ ও বদরাগী ওসিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।