ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: আগামী জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে এসব ঘর হন্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ জন্য কর্মযজ্ঞে মুখরোরিত গুচ্ছ গ্রামগুলো। শেষ পর্যায়ে চলছে ঘর নির্মাণ কাজ।
এসব গুচ্ছগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় কিছুটা দুর্ভোগের কথা বললেন বাসিন্দারা। তবে এ সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে.এম কামররুজ্জামান সেলিম।
কেউ থাকেন অন্যের জমিতে, কেউবা সরকারি জমি বেদখল করে। খড় বা বেড়া দিয়ে জুবুথুবু করে জরাজীর্ণ অবস্থায় নিদারুণ কষ্টে তাদের বসবাস। পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযান তাদের। তার ওপর সরকারি জমি উচ্ছেদ অভিযানে ঘরবাড়ি ভেঙে দিলে নিদারুণ কষ্টের যেন শেষ নেই ভূমিহীন বা গৃহহীন এসব পরিবারদের।
তাদের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন- মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ ঘোষণার পর সারাদেশেই শুরু হয় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম।
এর আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে এবার তিনটি শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ৭ হাজার ৮০০ ঘর নির্মাণ করে দেবে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে প্রথম দফায় দেয়া হবে সাড়ে ৬শ’ ঘর। একটি পরিবারের জন্য দুই রুম বিশিষ্ট ঘরে আরো থাকবে রান্নাঘর, বাথরুম ও স্টোররুম। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
তবে এসব বাসিন্দাদের জন্য তেমন থাকছে না টিউবওয়েল ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। প্রতিটি পরিবার যেন একটি করে টিউবওয়েল পায় সেই দাবি সবার। এছাড়া বর্ষার পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থারও দাবি জানান সুবিধাভোগী ও জনপ্রতিনিধিরা।
তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই ঘর উপহার পেলে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং স্থায়ী বন্দোবস্ত হওয়ায় খুঁজে পেলো ঠিকানা। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করবে সুখ-শান্তিতে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানালেন গৃহহীন এসব পরিবার। আর এসব বাসিন্দাদের পনি ও ড্রেনজ ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে করার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।