স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন ঘিরে এমনিতে যে উত্তাপ থাকে, এবার মহামারীর বাস্তবতায় ততটা নেই। তবে বরাবরের মতই ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা আর বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থীরা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীও।
ভোটের আগের পরিবেশ এমনিতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোটের প্রচার নিয়ে দুয়েকটি এলাকায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় পরিবেশ ও পরিস্থিতি ভালো। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে রয়েছে। কোনো ধরনের অভিযোগের প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ইভিএমে ভোটের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আগামীকাল যেসব পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় পৌরসভা, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম পৌরসভা, রাজশাহীর পুটিয়া ও কাটাখালি, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্ঠিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালির কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ পৌরসভা, ঢাকার ধামরাই, গাজীপুরের শ্রীপুর, সুনামগেঞ্জর দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা।