রোববার দুপুর দেড়টার দিকে রফিকুল ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মহনগরীর গাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, কথিত শিশুবক্তা হাজতি রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাছা থানার একটি মামলায় দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান জানান, পুলিশ হেফজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার দুপুরে শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামকে কারাগার থেকে গাছা থানায় নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮ এপ্রিল র্যাবের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে বাসন থানাও একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া গাছা থানার মামলার সঙ্গে পরে পর্ণ ভিডিও ধারণের অভিযোগে একটি বিশেষ ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে আদালত এই আদেশ দেয় বলে গাজীপুর সিটি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) শুভাশীষ ধর জানান।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার গাছা থানা পুলিশ মাদানীকে সাতদিনের হেফাজতে চেয়ে গাজীপুরের আদালতে আবেদন করে। বৃহস্পতিবার অনলাইন মাধ্যমে শুনানি শেষে আদালত দুইদিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল মাদানীকে নেত্রকোণার বাড়ি পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। তার আগে ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (৫)(ক) ধারা যুক্ত করে পুলিশ।
গাজীপুর মহানগরের বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মারকাজুন নূর আল ইসলামিয়া নামে একটি আবাসিক মাদ্রাসা রয়েছে। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদনী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক।