বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জুম প্ল্যাটফর্মে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য ড. মূনাজ আহমেদ নূর বলেন, আজকের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে যারা চাইবে তারা অনলাইনে শুধু একাডেমিক পরীক্ষাগুলো নিতে পারবে। সেক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন নিতে হবে।
তিনি জানান, অনলাইন পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের টেকনিক্যাল কমিটি একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এ গাইডলাইন অনুসরন করে পরীক্ষা নিতে হবে। সেখানে কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে, কীভাবে পরীক্ষা মনিটরিং করতে হবে সব বিষয় বলা আছে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়া সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে গতি আনতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া যায় কি না তার জন্য একটি কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শর্ত সাপেক্ষে অনলাইনে একাডেমিক পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস টেস্ট নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত দুই সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়ে সে কারণে অনলাইন মাধ্যমে এসব পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এজন্য সাতটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এসব শর্ত অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে হবে। এটি চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এখন থেকে অনলাইনে যেকোনো ধরনের পরীক্ষা নিতে বাধা থাকছে না। তবে যেসব পরীক্ষা হাতে-কলমে না দিলেই নয় সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।