তিনি বলেন, অর্ধেক বাস কিভাবে চলাচল করবে তা স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আলোচনা করে ঠিক করে নেবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ঠিক করা হবে যতগুলো বাস আছে তার অর্ধেক আজকে চলবে, পরেরদিন বাকি অর্ধেক চলবে।’
তিনি বলেন, ‘এই শর্ত মূলত আন্তঃজেলা বাসের জন্য আরোপ করা হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাস আসে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক-শ্রমিক যারা আছেন তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা একটা পদ্ধতি বের করবেন।’
অর্ধেক বাস চলাচলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে কিনা এ প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একসঙ্গে বেশি গাড়ি ঢাকা বা চট্টগ্রামের দিকে যাতে না ঢোকে, এটা স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। সিটির ক্ষেত্রেও মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নেবে। কোনোকিছু ভায়োলেশন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। সবকিছু আমরা লোকাল অ্যাডমিনস্ট্রেশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে চলা বিধিনিষেধ রোববার থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তুলে নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক এলাকার প্রতিদিন মোট যানবাহনের অর্ধেক গাড়ি রাস্তায় নামানোর শর্ত দেওয়া হয়েছে।
জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও বিনোদন কেন্দ্র চালু ও জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।গণপরিবহন চালুর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আলোচনা করে ঠিক করবে কতগুলো গাড়ি চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগে ভ্যাকসিনেশন জোরদার হচ্ছে কীভাবে ছাত্রদের আগে ভ্যাকসিন দেয়া যায়। তারপর ওনারা এটা ব্রিফ করবেন।