রবিবার ভোর থেকেই নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানান তারা।
শনিবার আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে শহীদ হোসেন দিবস পালনের ঘোষণা দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের জিরো পয়েন্টে আসার আহ্বান জানায়। এদিকে এরপর তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা সমাবেশ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
এদিকে শহীদ নূর হোসেন দিবসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সারাদেশে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীতে সচিবালয়ের আশেপাশে এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পুলিশকে কিছু ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা গেছে। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেখানে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।’
ইউএনবির প্রতিনিধি রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। “আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের স্থান নেই”, “দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত”, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”—এমন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
নাইমুর নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই দেশে যেই দল ও সরকার ফ্যাসিবাদকে চরমে নিয়ে গেছে, যারা আমার ভাই-বোনদের হত্যা করেছে, তাদের জন্য কোনো দয়া নেই। আমরা কোনো লীগ চাই না, আর এ কারণেই আমরা আজ এখানে এসেছি।’
বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। দেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান ফ্যাসিবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন।
তার বুক ও পিঠে লেখা ছিল “স্বৈরাচার নিপাত যাক” এবং “গণতন্ত্র মুক্তি পাক” স্লোগান।