রানীশংকৈল(ঠাকুরগাও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা (স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর) প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের পরোক্ষ সহায়তায় উপজেলার মিরডাঙ্গী এলাকার কালভার্ট নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ কালভার্টটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম জে,বি ট্রের্ডাস। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাজ্বী পাড়া ঠাকুরগাও সদরের স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী। মীরডাঙ্গী হাট থেকে কাতিহার হাট পর্যন্ত সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্টাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর এলজিইডি এস আর আই আই পি ডাবলুউ-১১১ নং প্যাকেজে এডিবি কে এফ ডবিøউ এন্ড গর্ভমেন্ট বাংলাদেশের ২ কোটি ৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ১৩ টাকা টেন্ডার চুক্তি বরাদ্দে ১৭৩৫ মিটার দৈর্ঘ্য রাস্তা পাকা করনের কাজ গত ২০১৪ সালের মে মাসের ২ তারিখে শুরু হয়ে পরের বছর অথ্যাৎ ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। অথচ চুক্তি মেয়াদ পার করে রাস্তা নির্মাণ করলেও এ কালভার্টটি নির্মাণে বিরত ছিলেন ঠিকাদার। সময় বাড়াতে বাড়াতে প্রায় চার বছরের অধিক সময় পরে বর্তমানে মিরডাঙ্গীতে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দে আট মিটার দৈর্ঘ্যর কালভাটটি নির্মান কাজ চলছে। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর সুত্রে জানা যায়, এই কালভার্টটি নির্মানের কাজ শেষ করতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। এদিকে সময় বেশি না থাকার কারনে ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে যেনতেনভাবে কালভাটটি নির্মানের কাজ চালাচ্ছেন। এতে ঐ এলাকার সচেতনমহল কাজটিতে অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে কাজ করার টেন্ডার অনুযায়ী নিয়মের কাগজ পত্র দেখতে চাইলেও দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী। এ নিয়ে ঐ এলাকার মানুষের মাঝে সন্দেহ বিরাজ করছে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলীর গোপন আতাত নিয়ে। গতকাল সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের নিচে এক হাটু পানি জমে রয়েছে,জানা যায়, পানি থাকা অবস্থায় বটমচাপের এবং ব্যাচ ঢালায়ের কাজ করা হয়েছে। এ কাজেও রড সিমেন্ট পাথরের অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যা নড়বড়ে অবস্থায় কিছু দিনের মধ্যে পরিণত হবে বলে আশংকা করছেন ঐ এলাকার মানুষজন। এছাড়াও নিন্ম মানের রড,সিমেন্ট পাথর দিয়ে কাজ করা হচ্ছে । কালভার্টের ভার্টিকেল গুলো নির্মানে অনিয়ম করা হয়েছে। ভার্টিকেলের সিমেন্টে ঘষা দিলে উঠে আসছে সিমেন্ট। পরে আবার সেগুলো অতিরিক্ত সিমেন্ট লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও কাজ করার বেশিরভাগ সময় প্রকৌশলী দপ্তরের লোকজন থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মিস্ত্রির কাছেও কাজ করার নিয়মবালী(স্টেমিট শীট) নেই। তাকে নাকি যেভাবে বলে দেওয়া হয় সেভাবেই তিনি কাজ করছেন। সব মিলিয়ে অনিয়মের মহাউৎসব চলছে কালর্ভাটটি নির্মানে। দেখার যেন কেউ নেই। এলাকাবাসীর দাবী দীর্ঘদিন যাবৎ পর কালর্ভাটটি নির্মান হচ্ছে তাও আবার অনিয়মের মধ্যে দিয়ে। আমরা সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং বলেন আমি তথ্য দিতে পারবো না। আপনি জেলা এক্সচেঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করেন। আপনার কালভার্টে অনিয়ম হচ্ছে প্রশ্নে তিনি না জবাব থাকেন। এছাড়াও ঠিকাদার রজব আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তস্বর বর্ম্মন মুঠোফোনে বলেন,কাজ করা মিস্ত্রির কাছে অব্যশই ড্রয়িং শীট থাকবে। এছাড়াও ঠিকাদার কাজটি করতে লেনদি করাই। আমরা একটু সমস্যায় পড়েছি। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে আশা করছি।