ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই

হাসিবুর রহমান স্বপন, ঠাকুরগাঁও থেকে: কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই। তার কাছে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিকাশ এজেন্ট এমনকি অনেক দোকানদারো প্রতারিত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার উপক্রম হয়েছে । অনেককে আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের ঘানি টানতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার চেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে এন আই এ্যক্টের মামলা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। তার পুরো নাম গোলাম কাদের । সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কাচকালী গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে । তিনি ব্যবসার সুবাদে র্দীঘ দিন ধরে জেলা শহরের হাজীপাড়াই বসবাস করতেন । সেই সুবাদেই শহরের অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে কাদেরের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হয় কাদের আত্ব গোপনে চলেগেলে।
শহরের শহিদুল ইসলাম নামে এক বিকাশ ব্যবসায়ী বলেন, সে দীর্ঘ দিন ধরে আমার দোকানে লেনদেন করার সুবাদে মাঝে মাঝে বাকি ফেলতো আবার দিয়েও দিতো হুজুর মানুষ মনে করে তাকে বিশ^াস করতাম । সে কৌশলে আমার দোকানে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে খোঁজার জন্য তার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত গেছি তার বাড়ির লোকজন আমার সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোন মত ব্যবসা করছি বর্তমানে আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার মত সংসার চালাতে পারছিনা।
তাজুল ইসলাম নামে এক বিকাশ দোকানদার বলেন, সে আমার কাছে বিকাশে লেনদেন করতো ৫০ হাজার আজকে নিলে কালকে দিয়ে দিতো। দেখি কয়েকদিন নাই আবার হঠাৎ করে আসে বলতো ভাই আমি বিপদে পড়ছি আমার লেনদেনটা চালু করে দেন এরকম করে সে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে নিয়ে চলেগেছে । আর আসেনি । আমি তাকে অনেক খোঁজা খুজি করেছি তাকে পাইনি । বাধ্য হয়ে আমি তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি আদালতে মামলা করেছি।
আপনি তার ফাঁদে কিভাবে পা দিলেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সে হুজুর মানুষ তার মিষ্টি কথায় বিপদে পড়ার কারণে তাকে সহযোগীতা করেছিলাম।
তবে তার গ্রামের অনেকেই বলেন, কাদের এরকম করার কথা না ব্যবসায় লোকশান হওয়ার কারণে হয়তোবা এরকম হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই

আপডেট টাইম ০১:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

হাসিবুর রহমান স্বপন, ঠাকুরগাঁও থেকে: কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই। তার কাছে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিকাশ এজেন্ট এমনকি অনেক দোকানদারো প্রতারিত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার উপক্রম হয়েছে । অনেককে আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের ঘানি টানতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার চেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে এন আই এ্যক্টের মামলা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। তার পুরো নাম গোলাম কাদের । সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কাচকালী গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে । তিনি ব্যবসার সুবাদে র্দীঘ দিন ধরে জেলা শহরের হাজীপাড়াই বসবাস করতেন । সেই সুবাদেই শহরের অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে কাদেরের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হয় কাদের আত্ব গোপনে চলেগেলে।
শহরের শহিদুল ইসলাম নামে এক বিকাশ ব্যবসায়ী বলেন, সে দীর্ঘ দিন ধরে আমার দোকানে লেনদেন করার সুবাদে মাঝে মাঝে বাকি ফেলতো আবার দিয়েও দিতো হুজুর মানুষ মনে করে তাকে বিশ^াস করতাম । সে কৌশলে আমার দোকানে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে খোঁজার জন্য তার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত গেছি তার বাড়ির লোকজন আমার সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোন মত ব্যবসা করছি বর্তমানে আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার মত সংসার চালাতে পারছিনা।
তাজুল ইসলাম নামে এক বিকাশ দোকানদার বলেন, সে আমার কাছে বিকাশে লেনদেন করতো ৫০ হাজার আজকে নিলে কালকে দিয়ে দিতো। দেখি কয়েকদিন নাই আবার হঠাৎ করে আসে বলতো ভাই আমি বিপদে পড়ছি আমার লেনদেনটা চালু করে দেন এরকম করে সে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে নিয়ে চলেগেছে । আর আসেনি । আমি তাকে অনেক খোঁজা খুজি করেছি তাকে পাইনি । বাধ্য হয়ে আমি তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি আদালতে মামলা করেছি।
আপনি তার ফাঁদে কিভাবে পা দিলেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সে হুজুর মানুষ তার মিষ্টি কথায় বিপদে পড়ার কারণে তাকে সহযোগীতা করেছিলাম।
তবে তার গ্রামের অনেকেই বলেন, কাদের এরকম করার কথা না ব্যবসায় লোকশান হওয়ার কারণে হয়তোবা এরকম হয়েছে।