ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রানিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২ দিনের প্রশিক্ষন সম্পন্ন পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ১৫ বছর ধরে : সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ১৪৪ ধারা জারি গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে আল-হাসানার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন প্রতিবাদসভা আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ, জামিন আবেদন আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, ঢাকার প্রস্তাব দ্বিধায় দিল্লি সত্যের মুখোমুখি আসিফ নজরুল পীরগঞ্জে মাস ব্যাপী হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন সংখ্যালঘুদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা

কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই

হাসিবুর রহমান স্বপন, ঠাকুরগাঁও থেকে: কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই। তার কাছে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিকাশ এজেন্ট এমনকি অনেক দোকানদারো প্রতারিত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার উপক্রম হয়েছে । অনেককে আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের ঘানি টানতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার চেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে এন আই এ্যক্টের মামলা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। তার পুরো নাম গোলাম কাদের । সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কাচকালী গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে । তিনি ব্যবসার সুবাদে র্দীঘ দিন ধরে জেলা শহরের হাজীপাড়াই বসবাস করতেন । সেই সুবাদেই শহরের অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে কাদেরের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হয় কাদের আত্ব গোপনে চলেগেলে।
শহরের শহিদুল ইসলাম নামে এক বিকাশ ব্যবসায়ী বলেন, সে দীর্ঘ দিন ধরে আমার দোকানে লেনদেন করার সুবাদে মাঝে মাঝে বাকি ফেলতো আবার দিয়েও দিতো হুজুর মানুষ মনে করে তাকে বিশ^াস করতাম । সে কৌশলে আমার দোকানে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে খোঁজার জন্য তার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত গেছি তার বাড়ির লোকজন আমার সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোন মত ব্যবসা করছি বর্তমানে আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার মত সংসার চালাতে পারছিনা।
তাজুল ইসলাম নামে এক বিকাশ দোকানদার বলেন, সে আমার কাছে বিকাশে লেনদেন করতো ৫০ হাজার আজকে নিলে কালকে দিয়ে দিতো। দেখি কয়েকদিন নাই আবার হঠাৎ করে আসে বলতো ভাই আমি বিপদে পড়ছি আমার লেনদেনটা চালু করে দেন এরকম করে সে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে নিয়ে চলেগেছে । আর আসেনি । আমি তাকে অনেক খোঁজা খুজি করেছি তাকে পাইনি । বাধ্য হয়ে আমি তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি আদালতে মামলা করেছি।
আপনি তার ফাঁদে কিভাবে পা দিলেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সে হুজুর মানুষ তার মিষ্টি কথায় বিপদে পড়ার কারণে তাকে সহযোগীতা করেছিলাম।
তবে তার গ্রামের অনেকেই বলেন, কাদের এরকম করার কথা না ব্যবসায় লোকশান হওয়ার কারণে হয়তোবা এরকম হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রানিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২ দিনের প্রশিক্ষন সম্পন্ন

কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই

আপডেট টাইম ০১:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

হাসিবুর রহমান স্বপন, ঠাকুরগাঁও থেকে: কাদেরের প্রতারণার ফাঁদে অর্থ হাড়িয়ে দিশেহারা অনেকেই। তার কাছে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিকাশ এজেন্ট এমনকি অনেক দোকানদারো প্রতারিত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার উপক্রম হয়েছে । অনেককে আবার এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের ঘানি টানতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার চেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে এন আই এ্যক্টের মামলা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। তার পুরো নাম গোলাম কাদের । সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কাচকালী গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে । তিনি ব্যবসার সুবাদে র্দীঘ দিন ধরে জেলা শহরের হাজীপাড়াই বসবাস করতেন । সেই সুবাদেই শহরের অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে কাদেরের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হয় কাদের আত্ব গোপনে চলেগেলে।
শহরের শহিদুল ইসলাম নামে এক বিকাশ ব্যবসায়ী বলেন, সে দীর্ঘ দিন ধরে আমার দোকানে লেনদেন করার সুবাদে মাঝে মাঝে বাকি ফেলতো আবার দিয়েও দিতো হুজুর মানুষ মনে করে তাকে বিশ^াস করতাম । সে কৌশলে আমার দোকানে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে খোঁজার জন্য তার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত গেছি তার বাড়ির লোকজন আমার সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কোন মত ব্যবসা করছি বর্তমানে আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার মত সংসার চালাতে পারছিনা।
তাজুল ইসলাম নামে এক বিকাশ দোকানদার বলেন, সে আমার কাছে বিকাশে লেনদেন করতো ৫০ হাজার আজকে নিলে কালকে দিয়ে দিতো। দেখি কয়েকদিন নাই আবার হঠাৎ করে আসে বলতো ভাই আমি বিপদে পড়ছি আমার লেনদেনটা চালু করে দেন এরকম করে সে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে নিয়ে চলেগেছে । আর আসেনি । আমি তাকে অনেক খোঁজা খুজি করেছি তাকে পাইনি । বাধ্য হয়ে আমি তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানাই অভিযোগ এমনকি আদালতে মামলা করেছি।
আপনি তার ফাঁদে কিভাবে পা দিলেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সে হুজুর মানুষ তার মিষ্টি কথায় বিপদে পড়ার কারণে তাকে সহযোগীতা করেছিলাম।
তবে তার গ্রামের অনেকেই বলেন, কাদের এরকম করার কথা না ব্যবসায় লোকশান হওয়ার কারণে হয়তোবা এরকম হয়েছে।