একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদনের দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি চলছে। শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ ১৫০ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দিন বৈধ হলেন যারা-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মো. মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮-এর হাসান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ এর মো. আবু আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-এর মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এর আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১০ এর মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ এর খোরশেদ আলম খুশু।
বরিশাল-২-এর এ কে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১-এর মো. আবদুর রশিদ, বরিশাল-১-এর মো. বাদশা মিয়া, বরগুনা-১-এর মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১-এর গোলাম নবী আলমগীর, বরিশাল-২-এর মাসুদ পারভেজ ও ঝালকাঠি-১-এর বজলুল হক হারুণ।
দ্বিতীয় দিন আপিলে অবৈধ হলেণ যারা-
কুমিল্লা-১-এর মো. আলতাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৬-এর সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩-এর মো. আবদুল লতিফজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-এর মো. শাহজাহান, কুমিল্লা-২-এর মো. আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬-এর ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩-এর ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১-এর মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১-এর এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও পটুয়াখালী-২-এর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান।
স্থগিত আপিল আবেদনের মধ্যে রয়েছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এর মো. মেহেদী হাসান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া)।
গত ২৮ নভেরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি। তাদের মধ্যে ৫৪৩ জন প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করেন। যার অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬০ জনের মধ্যে ৮০ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।
ইসির তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।