পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজারদিহা ও থুমনিয়া শালবনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদী থেকে ইজারা ছাড়াই সাধন চন্দ্র কর্মকার, আব্দুল সালাম, শামসুল হক, রস্তম আলী, সফিউল, শরিফুল ইসলাম নামে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ঐ এলাকার কৃষকের ফসলি জমি গুলো দিনদিন নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে (৯ই মে ২০১৯) ইং তারিখে বালু তোলা বদ্ধের দাবিতে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহের কাছে আবেদন করেন এলাকাবাসী। তিনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১৩ই মে ২০১৯ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউএম রায়হান শাহের কাছে আবার গণআবেদন করেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে তাদের সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু রহমান। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার আরেকদিকে হুমকির মুখে পড়েছে এই বালু ঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকার ফসলি জমিগুলো। তবে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে পীরগঞ্জের কয়েকটি ঘাটে এভাবেই বালু উত্তোলন করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
২নং কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, আমি বালু উত্তোলন করতে বাধা করেছি কিন্তু তারা কোনভাবেই আমার বাধা মানেনা।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউএম রায়হান শাহ্ বলেন যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে যদি বাজারদিহা ও থুমনিয়ায় আবার বালু তোলা হয় তাহলে আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।