ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

বেসরকারি হেলিপোর্টের অনুমতি দেবে সরকার

সারাদিন ডেস্ক::বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হেলিকপ্টার পোর্ট নির্মাণের অনুমোদন দেবে সরকার। একই সঙ্গে ভবনের ছাদে হেলিকপ্টার প্যাড (হেলিপ্যাড) নির্মাণ লাইসেন্সের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য পৃথক দুটি খসড়া নীতিমালা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ দুটি নীতিমালা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে মতামত দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিগগির নীতিমালা দুটি কার্যকর করা হবে বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে আটটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বহরে ২৮ থেকে ৩০টি হেলিক্প্টার রয়েছে। বহরে আরও নতুন হেলিকপ্টার যুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং হেলিকপ্টারগুলো শাহজালাল বিমানবন্দরে রাখা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হেলিকপ্টার অপারেশন পরিচালনার জন্য বেবিচকে আবেদন করেছে। এসব হেলিকপ্টার শাহজালাল বিমানবন্দরে কয়েকটি হ্যাঙ্গারে মেরামত করা হয়।
সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরে জায়গা কম থাকায় নতুন কোনও হেলিকপ্টার সংস্থাকে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট দিতে পারছে না বেবিচক। একই সঙ্গে নতুন হেলিকপ্টার কিনে তা রাখার জায়গার সংকটে রয়েছে অপারেটরগুলো। বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হেলিকপ্টারের অপারেশন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক মুভমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় হেলিকপ্টারসহ অন্যান্য শিডিউল ফ্লাইটের চলাচল বিলম্বিত হচ্ছে। এ কারণে কয়েকটি হেলিকপ্টার অপারেটর নিজস্ব ব্যয়ে হেলিপোর্ট নির্মাণের অনুমতি চেয়েছে বেবিচকের কাছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে উচ্চ ভবনগুলোর ছাদে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তা, নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ‘রুফটপ হেলিপ্যাড নীতিমালা’ খসড়া করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হেলিপোর্ট স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১৯ এবং রুফটপ হেলিপ্যাড নীতিমালা-২০১৯ এর খসড়া তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আগামী ১৬ জুনের মধ্যে খসড়া নীতমালার বিষয়ে মতামত দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে তা পাঠানো হয়েছে। হেলিপোর্ট স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১৯ খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বিধিবদ্ধ সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হেলিপোর্ট স্থাপন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। হেলিপোর্টে কমপক্ষে ১০টি হেলিকপ্টার পার্কিং, মেরামত, অপারেশনের সুবিধাসহ সাত একর জায়গা থাকতে হবে। সরকার অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) থেকে পাঁচ নটিক্যাল মাইলে মধ্যে হেলিপোর্ট করা যাবে না। হেলিপোর্টে কমপক্ষে দুইটি হেলিপ্যাড থাকতে হবে। ফায়ার ফাইটিং ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, নেভিগেশন, যোগাযোগ, সার্ভেইল্যান্স, ল্যান্ডিং, সিকিউরিটি যন্ত্রপাতি স্থাপনের অর্থের সংকুলান প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে। হেলিপোর্ট পরিচালনার জন্য বেবিচকের অনুমোদিত যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ দিতে হবে। বিমান মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক অনুমোদনের পর এবং হেলিপোর্ট নির্মাণ শেষ হলে বেবিচকের কাছ থেকে ‘হেলিপোর্ট অপারেটর লাইসেন্স’ নিতে হবে। বেচিবক এক বছর মেয়াদের এ লাইসেন্স দেবে। হেলিপোর্টে হেলিকপ্টার নিরাপদে পরিচালনার স্বার্থে কোনও জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সরকারের অনুমতি নিয়ে বেবিচেক পোর্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে সরাসরি সেবা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বেবিচকের সব ব্যয় অগ্রিম পরিশোধ করবে হেলিপোর্ট অপারেটর কর্তৃপক্ষ। ছয় মাসের বেশি সময় বেবিচকের সেবার দরকার হলে সেই পোর্ট কর্তৃপক্ষ পরিচালনায় অসমর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে বেবিচক।
রুফটপ হেলিপ্যাড নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হেলিপ্যাড পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে পারবেন। নিষিদ্ধ, সংরক্ষিত, বিপজ্জনক, সরকার অনুমোদিত গুরুত্বর্পূণ স্থাপনা (কেপিআই) থেকে তিন নটিক্যাল মাইলে মধ্যে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা যাবে না। সরকারি অনুমোদিত ইমারত নির্মাণ বিধি অনুযায়ী, নির্মিত ভবনে সর্বোচ্চ ভারী হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম ছাদ হতে হবে।হেলিপ্যাডে বেবিচক অনুমোদিত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরিচালনা করতে হবে। হেলিপ্যাড পরিচালনার জন্য এক বছর মেয়াদি লাইসেন্স দেবে বেবিচক। অনুমোদনবিহীন হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার পরিচালনা অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং বিধি অনুসারে শাস্তি হবে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক বলেন, বাংলাদেশে রোগী পরিবহনসহ জরুরি প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণে বেসরকারি হেলিপোর্ট নির্মাণে অনুমতি দেবে সরকার। তবে যাত্রী ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেবিচক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

বেসরকারি হেলিপোর্টের অনুমতি দেবে সরকার

আপডেট টাইম ০৬:০৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক::বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হেলিকপ্টার পোর্ট নির্মাণের অনুমোদন দেবে সরকার। একই সঙ্গে ভবনের ছাদে হেলিকপ্টার প্যাড (হেলিপ্যাড) নির্মাণ লাইসেন্সের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য পৃথক দুটি খসড়া নীতিমালা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ দুটি নীতিমালা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে মতামত দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিগগির নীতিমালা দুটি কার্যকর করা হবে বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে আটটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বহরে ২৮ থেকে ৩০টি হেলিক্প্টার রয়েছে। বহরে আরও নতুন হেলিকপ্টার যুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং হেলিকপ্টারগুলো শাহজালাল বিমানবন্দরে রাখা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হেলিকপ্টার অপারেশন পরিচালনার জন্য বেবিচকে আবেদন করেছে। এসব হেলিকপ্টার শাহজালাল বিমানবন্দরে কয়েকটি হ্যাঙ্গারে মেরামত করা হয়।
সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরে জায়গা কম থাকায় নতুন কোনও হেলিকপ্টার সংস্থাকে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট দিতে পারছে না বেবিচক। একই সঙ্গে নতুন হেলিকপ্টার কিনে তা রাখার জায়গার সংকটে রয়েছে অপারেটরগুলো। বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হেলিকপ্টারের অপারেশন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক মুভমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় হেলিকপ্টারসহ অন্যান্য শিডিউল ফ্লাইটের চলাচল বিলম্বিত হচ্ছে। এ কারণে কয়েকটি হেলিকপ্টার অপারেটর নিজস্ব ব্যয়ে হেলিপোর্ট নির্মাণের অনুমতি চেয়েছে বেবিচকের কাছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে উচ্চ ভবনগুলোর ছাদে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তা, নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ‘রুফটপ হেলিপ্যাড নীতিমালা’ খসড়া করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হেলিপোর্ট স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১৯ এবং রুফটপ হেলিপ্যাড নীতিমালা-২০১৯ এর খসড়া তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আগামী ১৬ জুনের মধ্যে খসড়া নীতমালার বিষয়ে মতামত দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে তা পাঠানো হয়েছে। হেলিপোর্ট স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১৯ খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বিধিবদ্ধ সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হেলিপোর্ট স্থাপন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। হেলিপোর্টে কমপক্ষে ১০টি হেলিকপ্টার পার্কিং, মেরামত, অপারেশনের সুবিধাসহ সাত একর জায়গা থাকতে হবে। সরকার অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) থেকে পাঁচ নটিক্যাল মাইলে মধ্যে হেলিপোর্ট করা যাবে না। হেলিপোর্টে কমপক্ষে দুইটি হেলিপ্যাড থাকতে হবে। ফায়ার ফাইটিং ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, নেভিগেশন, যোগাযোগ, সার্ভেইল্যান্স, ল্যান্ডিং, সিকিউরিটি যন্ত্রপাতি স্থাপনের অর্থের সংকুলান প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে। হেলিপোর্ট পরিচালনার জন্য বেবিচকের অনুমোদিত যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ দিতে হবে। বিমান মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক অনুমোদনের পর এবং হেলিপোর্ট নির্মাণ শেষ হলে বেবিচকের কাছ থেকে ‘হেলিপোর্ট অপারেটর লাইসেন্স’ নিতে হবে। বেচিবক এক বছর মেয়াদের এ লাইসেন্স দেবে। হেলিপোর্টে হেলিকপ্টার নিরাপদে পরিচালনার স্বার্থে কোনও জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সরকারের অনুমতি নিয়ে বেবিচেক পোর্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে সরাসরি সেবা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বেবিচকের সব ব্যয় অগ্রিম পরিশোধ করবে হেলিপোর্ট অপারেটর কর্তৃপক্ষ। ছয় মাসের বেশি সময় বেবিচকের সেবার দরকার হলে সেই পোর্ট কর্তৃপক্ষ পরিচালনায় অসমর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে বেবিচক।
রুফটপ হেলিপ্যাড নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হেলিপ্যাড পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে পারবেন। নিষিদ্ধ, সংরক্ষিত, বিপজ্জনক, সরকার অনুমোদিত গুরুত্বর্পূণ স্থাপনা (কেপিআই) থেকে তিন নটিক্যাল মাইলে মধ্যে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা যাবে না। সরকারি অনুমোদিত ইমারত নির্মাণ বিধি অনুযায়ী, নির্মিত ভবনে সর্বোচ্চ ভারী হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম ছাদ হতে হবে।হেলিপ্যাডে বেবিচক অনুমোদিত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরিচালনা করতে হবে। হেলিপ্যাড পরিচালনার জন্য এক বছর মেয়াদি লাইসেন্স দেবে বেবিচক। অনুমোদনবিহীন হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার পরিচালনা অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং বিধি অনুসারে শাস্তি হবে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক বলেন, বাংলাদেশে রোগী পরিবহনসহ জরুরি প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণে বেসরকারি হেলিপোর্ট নির্মাণে অনুমতি দেবে সরকার। তবে যাত্রী ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেবিচক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।