ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

এনসিপি নেত্রীকে লাথি মারলেন বিজেপির বিধায়ক

ডেস্ক | ৪ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার:: স্থানীয় একটি ইস্যুতে গুজরাটে বিজেপির বিধায়ক বলরাম থাওয়ানির অফিসে গিয়েছিলেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেত্রী নিতু তেজওয়ানি। সেখানে নিতুকে লাথি মারতে থাকেন ওই বিধায়ক। এ বিষয়টি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এরপর থেকে বেশ সমস্যার মুখে রয়েছেন বিধায়ক বলরাম। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের নারোদায় রোববার। এ নিয়ে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিতু। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, বিজেপির শাসনে নারীরা কি নিরাপদ? এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
এ খবর যখন ছড়িয়ে পড়েছে তখন বিধায়ক বলরাম থাওয়ানি বলেছেন, এনসিপির ওই নেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে তিনি প্রস্তুত। ওদিকে বলরামের অফিসে কি ঘটেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন নিতু। তিনি বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেছেন, আমি স্থানীয় একটি ইস্যুতে উপস্থিত হয়েছিলাম বিজেপি দলীয় বিধায়ক বলরাম থাওয়ানির অফিসে। আমার কথা শোনার আগেই তিনি আমাকে থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে আমি পড়ে যাই। এ সময় তিনি আমাকে লাথি মারতে থাকেন। তার লোকজন আমার স্বামীকে পর্যন্ত প্রহার করতে থাকে। তাই আমি মোদিজির কাছে জানতে চাই, বিজেপির শাসনের অধীনে নারীদের জীবন কেমন নিরাপদ?
এর জবাবে বিধায়ক বলরাম বলেছেন, আমি স্বীকার করছি, ভুল করেছি। এ ভুল ইচ্ছাকৃতভাবে করি নি। গত ২২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এর আগে এমন কোনো ঘটনা কখনো ঘটাই নি। আমি তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবো। তিনি আরো বলেন, রোববার তার বাসভবনের অফিসে ৪০ থেকে ৫০ জন নারী ও ২০ থেকে ২৫ জন পুরুষ জমায়েত হন। এ সময় তাদেরকে চা-বিস্কুট খাওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পানি নিয়ে তারা যে সমস্যার কথা বলেছেন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলরামের ভাষায়, রোববার সরকারি অফিস বন্ধ থাকার কারণে তাদেরকে  সোমবার আমার অফিসে যেতে বলি এবং প্রতিশ্রুতি দেই, সহায়তা করবো। ২০ থেকে ২৫ মিনিট আলোচনা চলে। আমার পাশে দাঁড়িয়ে দু’জন পুরুষ পেশীশক্তি দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। আমি তাদেরকে বলি, লড়াই নয়, সমাধান বের করা উচিত।
বলরামের দাবি, এক পর্যায়ে লোকগুলো তাকে ঘুষি মারতে থাকে এবং তাকে অফিস থেকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে আনে। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। বলরাম বলেন, আত্মরক্ষার্থে আমি লোকগুলোকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলাম। স্বীকার করি, ভুল করে একজন নারীকে তখন লাথি দিয়েছি, যা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং তা টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, এসব লোকই কয়েকদিন আগে তার ভাইয়ের অফিসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। বলরামের অভিযোগ, এনসিপির ওই নেত্রী ও তার স্বামী সিন্ধু সেনা এবং এনসিপির সঙ্গে যুক্ত। চার দিন আগে, তারা আমার ভাইয়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তাদের অবৈধ পানির সংযোগ ছিল। সেটা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাই তারা পরিকল্পিতভাবে রোববারের ওই ঘটনা সাজিয়েছে।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

এনসিপি নেত্রীকে লাথি মারলেন বিজেপির বিধায়ক

আপডেট টাইম ০৫:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০১৯
ডেস্ক | ৪ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার:: স্থানীয় একটি ইস্যুতে গুজরাটে বিজেপির বিধায়ক বলরাম থাওয়ানির অফিসে গিয়েছিলেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেত্রী নিতু তেজওয়ানি। সেখানে নিতুকে লাথি মারতে থাকেন ওই বিধায়ক। এ বিষয়টি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এরপর থেকে বেশ সমস্যার মুখে রয়েছেন বিধায়ক বলরাম। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের নারোদায় রোববার। এ নিয়ে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিতু। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, বিজেপির শাসনে নারীরা কি নিরাপদ? এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
এ খবর যখন ছড়িয়ে পড়েছে তখন বিধায়ক বলরাম থাওয়ানি বলেছেন, এনসিপির ওই নেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে তিনি প্রস্তুত। ওদিকে বলরামের অফিসে কি ঘটেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন নিতু। তিনি বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেছেন, আমি স্থানীয় একটি ইস্যুতে উপস্থিত হয়েছিলাম বিজেপি দলীয় বিধায়ক বলরাম থাওয়ানির অফিসে। আমার কথা শোনার আগেই তিনি আমাকে থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে আমি পড়ে যাই। এ সময় তিনি আমাকে লাথি মারতে থাকেন। তার লোকজন আমার স্বামীকে পর্যন্ত প্রহার করতে থাকে। তাই আমি মোদিজির কাছে জানতে চাই, বিজেপির শাসনের অধীনে নারীদের জীবন কেমন নিরাপদ?
এর জবাবে বিধায়ক বলরাম বলেছেন, আমি স্বীকার করছি, ভুল করেছি। এ ভুল ইচ্ছাকৃতভাবে করি নি। গত ২২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এর আগে এমন কোনো ঘটনা কখনো ঘটাই নি। আমি তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবো। তিনি আরো বলেন, রোববার তার বাসভবনের অফিসে ৪০ থেকে ৫০ জন নারী ও ২০ থেকে ২৫ জন পুরুষ জমায়েত হন। এ সময় তাদেরকে চা-বিস্কুট খাওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পানি নিয়ে তারা যে সমস্যার কথা বলেছেন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলরামের ভাষায়, রোববার সরকারি অফিস বন্ধ থাকার কারণে তাদেরকে  সোমবার আমার অফিসে যেতে বলি এবং প্রতিশ্রুতি দেই, সহায়তা করবো। ২০ থেকে ২৫ মিনিট আলোচনা চলে। আমার পাশে দাঁড়িয়ে দু’জন পুরুষ পেশীশক্তি দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। আমি তাদেরকে বলি, লড়াই নয়, সমাধান বের করা উচিত।
বলরামের দাবি, এক পর্যায়ে লোকগুলো তাকে ঘুষি মারতে থাকে এবং তাকে অফিস থেকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে আনে। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। বলরাম বলেন, আত্মরক্ষার্থে আমি লোকগুলোকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলাম। স্বীকার করি, ভুল করে একজন নারীকে তখন লাথি দিয়েছি, যা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং তা টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, এসব লোকই কয়েকদিন আগে তার ভাইয়ের অফিসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। বলরামের অভিযোগ, এনসিপির ওই নেত্রী ও তার স্বামী সিন্ধু সেনা এবং এনসিপির সঙ্গে যুক্ত। চার দিন আগে, তারা আমার ভাইয়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তাদের অবৈধ পানির সংযোগ ছিল। সেটা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাই তারা পরিকল্পিতভাবে রোববারের ওই ঘটনা সাজিয়েছে।