ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ ওয়ার্কশপ কর্মসূচী পীরগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা সম্পন্ন এনবিআর বিলুপ্তির কারণ জানালো সরকার ১৪টি মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট : থানায় পৃথক ৩ এজাহার পীরগঞ্জে জবা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইউনূস সাহেব দয়া করে অতিদ্রুত নির্বাচনটা দিন : মির্জা ফখরুল পীরগঞ্জে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদ শূন্য ৩ বছর, অন্য জেলার কাজীরা সুবিধা নিচ্ছেন আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাইনা, সংষ্কার কি? আমি বুঝিনা, নির্বাচনের সঠিক রোডম্যাপ দেন …………………..ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাটুয়াপাড়া হাফিজিয়া এতিমখানায় প্রশাসনের পরিদর্শনে সত্যতা মিলেছে, পীরগঞ্জে ভূয়া এতিম দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

হংকং- জনতার রায়ের কাছে মাথানত করেও রেহাই নেই

ডেস্ক ::
জনতার রায়ের কাছে মাথা নত করেছেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হচ্ছেন না। তারা নতুন করে গ্রুপিং করছে। এর প্রেক্ষিতে আজ সোমবার হংকংয়ের কেন্দ্রীয় অংশে সরকারি সব অফিস বন্ধ করেছে করেছে সরকার। রোববারের বিক্ষোভে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ প্রতিবাদে শরিক হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে বহুল বিতর্কিত প্রত্যাবর্তন বা এক্সট্রাডিশন বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে সাধারণ মানুষ। এ বিলটি পুরো হংকংকে বিভক্ত করে দিয়েছে।

অভিযোগ করা হচ্ছে, এ বিলটিকে আইনে পরিণত করা হলে এর আওতায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের আটক করে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মূলত এর বিরুদ্ধেই এই আন্দোলন। সোমবার সকালে সরকারি একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিস (সিজিও)গুলোতে যাওয়ার দৃশ্যত সব সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। এ জন্য আজ সোমবার সিজিও’র সব অফিস অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। এতে আরো বলা হয়, সিজিও’তে যেসব কর্মী কাজ করেন তাদের আজ অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা শুধু তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যুরো বা ডিপার্টমেন্টের পরিকল্পনামতো কাজ করবেন। সিজিও’তে সব রকম ভিজিট স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে।

ওদিকে সোমবার সকালে প্রতিবাদকারীদের একটি ছোট গ্রুপ রাস্তা ছেড়ে দেয়ার পর হারকোর্ট রোড উন্মুক্ত হয়ে যায়। বিক্ষোভ আয়োজনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন তারা বিক্ষোভ সরিয়ে তামার পার্ক এবং উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে যাবেন। এসব স্থান হারকোর্ট রোডে সরকারি সদর দপ্তরগুলোর পাশেই। আয়োজকদের এ ঘোষণার পরই ওই বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে যান। তবে আয়োজকরা আরো বলছেন, তারা নতুন করে সংগঠিত হবেন। আবার সোমবার সকালের দিকে আগের দিনের কিছু বিক্ষোভকারী শহরে আদালতপাড়া ও সরকারি প্রধান অফিসগামী সড়কগুলোর মূল সংযোগ সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে প্রায় ৭০ টি রুটে বাস চলাচল বিঘিœত হয়। এর মধ্যে ১০টি বাসের রুট বাতিল করা হয়েছে। অন্য সার্ভিসগুলোকে অন্য রুটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ওয়ান চাই এলাকায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

শনি ও রোববার পর পর দু’দিন ছুটির দিনে এই বিক্ষোভে যোগ দেন কয়েক লাখ মানুষ। এর প্রেক্ষিতে ওই বিতর্কিত বিল বাতিল করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য হন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিক্ষোভকারীরা। তারা মনে করছেন, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করলে তিনি নতুন করে ওই বিল চাপিয়ে দিতে পারেন। তাই তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হংকংবাসীকে সোমবারও ধর্মঘটে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনকারী সংগঠন সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট (সিএইচআরএফ)। উদ্দেশ্য, তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ তীব্র করা। ওদিকে রোববার দিন শেষে সিএইচআরএফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি সরকার উপযুক্ত সাড়া দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আরো বেশি হংকংবাসী এই বিক্ষোভে যোগ দেবেন। নাগরিকরা রাস্তায় নেমে আসবেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ ওয়ার্কশপ কর্মসূচী

হংকং- জনতার রায়ের কাছে মাথানত করেও রেহাই নেই

আপডেট টাইম ০১:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯
ডেস্ক ::
জনতার রায়ের কাছে মাথা নত করেছেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হচ্ছেন না। তারা নতুন করে গ্রুপিং করছে। এর প্রেক্ষিতে আজ সোমবার হংকংয়ের কেন্দ্রীয় অংশে সরকারি সব অফিস বন্ধ করেছে করেছে সরকার। রোববারের বিক্ষোভে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ প্রতিবাদে শরিক হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে বহুল বিতর্কিত প্রত্যাবর্তন বা এক্সট্রাডিশন বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে সাধারণ মানুষ। এ বিলটি পুরো হংকংকে বিভক্ত করে দিয়েছে।

অভিযোগ করা হচ্ছে, এ বিলটিকে আইনে পরিণত করা হলে এর আওতায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের আটক করে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মূলত এর বিরুদ্ধেই এই আন্দোলন। সোমবার সকালে সরকারি একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিস (সিজিও)গুলোতে যাওয়ার দৃশ্যত সব সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। এ জন্য আজ সোমবার সিজিও’র সব অফিস অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। এতে আরো বলা হয়, সিজিও’তে যেসব কর্মী কাজ করেন তাদের আজ অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা শুধু তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যুরো বা ডিপার্টমেন্টের পরিকল্পনামতো কাজ করবেন। সিজিও’তে সব রকম ভিজিট স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে।

ওদিকে সোমবার সকালে প্রতিবাদকারীদের একটি ছোট গ্রুপ রাস্তা ছেড়ে দেয়ার পর হারকোর্ট রোড উন্মুক্ত হয়ে যায়। বিক্ষোভ আয়োজনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন তারা বিক্ষোভ সরিয়ে তামার পার্ক এবং উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে যাবেন। এসব স্থান হারকোর্ট রোডে সরকারি সদর দপ্তরগুলোর পাশেই। আয়োজকদের এ ঘোষণার পরই ওই বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে যান। তবে আয়োজকরা আরো বলছেন, তারা নতুন করে সংগঠিত হবেন। আবার সোমবার সকালের দিকে আগের দিনের কিছু বিক্ষোভকারী শহরে আদালতপাড়া ও সরকারি প্রধান অফিসগামী সড়কগুলোর মূল সংযোগ সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে প্রায় ৭০ টি রুটে বাস চলাচল বিঘিœত হয়। এর মধ্যে ১০টি বাসের রুট বাতিল করা হয়েছে। অন্য সার্ভিসগুলোকে অন্য রুটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ওয়ান চাই এলাকায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

শনি ও রোববার পর পর দু’দিন ছুটির দিনে এই বিক্ষোভে যোগ দেন কয়েক লাখ মানুষ। এর প্রেক্ষিতে ওই বিতর্কিত বিল বাতিল করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য হন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিক্ষোভকারীরা। তারা মনে করছেন, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করলে তিনি নতুন করে ওই বিল চাপিয়ে দিতে পারেন। তাই তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হংকংবাসীকে সোমবারও ধর্মঘটে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনকারী সংগঠন সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট (সিএইচআরএফ)। উদ্দেশ্য, তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ তীব্র করা। ওদিকে রোববার দিন শেষে সিএইচআরএফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি সরকার উপযুক্ত সাড়া দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আরো বেশি হংকংবাসী এই বিক্ষোভে যোগ দেবেন। নাগরিকরা রাস্তায় নেমে আসবেন।