ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
এবার আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন মঞ্চ ঘোষণা, অবস্থান শনিবার থেকে মিলন হত্যার বিচার দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও মুক্তিপণের ২৫ লাখ নিয়েও মিলন হত্যা, গলিত লাশ উদ্ধার, ঘাতকের বাড়ীঘরে জনতার  অগ্নিসংযােগ, বিচারের দাবীতে ডিসি অফিস ঘেরা ট্রাক ও পাগলুর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত

সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে, পরিবেশও রক্ষা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

 সারাদিন ডেস্ক::  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ বাড়লে বন ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে। তবে আমাদের পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আইন করেছি, মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। ’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত আধুনিকায়ন হচ্ছে, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আধুনিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা যা যা ব্যবহার করছি তার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তবে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হচ্ছি। উন্নয়ন দরকার, কিন্তু পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। আমাদের বৃক্ষরোপণ করতে হবে, জলাধার রক্ষা করতে হবে।’
দেশের সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, এর পরিচর্যাও করতে হবে। গাছ লাগলে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে রাস্তার পাশে ও জঙ্গলের আশপাশে বসবাসরত লোকদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা এসব গছের যত্ন নেবেন, গাছগুলো বড় হলে বিক্রির পর এর ৭৫ ভাগ লভ্যাংশ পাবেন তারা। আর ২৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে। এরাই আবার নতুন করে গাছ লাগাবেন।’
এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় উখিয়ায় যাই, সেসময় সেখানে কোনও রাস্তা ছিল না। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। ফরেস্ট বাংলোতে উঠতাম। চারপাশে ঘন জঙ্গল ছিল। মানবিক কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলো। কিন্তু এখন বন শেষ।’
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

এবার আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন মঞ্চ ঘোষণা, অবস্থান শনিবার থেকে

সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে, পরিবেশও রক্ষা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৬:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯
 সারাদিন ডেস্ক::  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ বাড়লে বন ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে। তবে আমাদের পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আইন করেছি, মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। ’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত আধুনিকায়ন হচ্ছে, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আধুনিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা যা যা ব্যবহার করছি তার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তবে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হচ্ছি। উন্নয়ন দরকার, কিন্তু পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। আমাদের বৃক্ষরোপণ করতে হবে, জলাধার রক্ষা করতে হবে।’
দেশের সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, এর পরিচর্যাও করতে হবে। গাছ লাগলে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে রাস্তার পাশে ও জঙ্গলের আশপাশে বসবাসরত লোকদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা এসব গছের যত্ন নেবেন, গাছগুলো বড় হলে বিক্রির পর এর ৭৫ ভাগ লভ্যাংশ পাবেন তারা। আর ২৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে। এরাই আবার নতুন করে গাছ লাগাবেন।’
এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় উখিয়ায় যাই, সেসময় সেখানে কোনও রাস্তা ছিল না। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। ফরেস্ট বাংলোতে উঠতাম। চারপাশে ঘন জঙ্গল ছিল। মানবিক কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলো। কিন্তু এখন বন শেষ।’