ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে, পরিবেশও রক্ষা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

 সারাদিন ডেস্ক::  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ বাড়লে বন ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে। তবে আমাদের পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আইন করেছি, মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। ’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত আধুনিকায়ন হচ্ছে, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আধুনিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা যা যা ব্যবহার করছি তার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তবে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হচ্ছি। উন্নয়ন দরকার, কিন্তু পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। আমাদের বৃক্ষরোপণ করতে হবে, জলাধার রক্ষা করতে হবে।’
দেশের সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, এর পরিচর্যাও করতে হবে। গাছ লাগলে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে রাস্তার পাশে ও জঙ্গলের আশপাশে বসবাসরত লোকদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা এসব গছের যত্ন নেবেন, গাছগুলো বড় হলে বিক্রির পর এর ৭৫ ভাগ লভ্যাংশ পাবেন তারা। আর ২৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে। এরাই আবার নতুন করে গাছ লাগাবেন।’
এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় উখিয়ায় যাই, সেসময় সেখানে কোনও রাস্তা ছিল না। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। ফরেস্ট বাংলোতে উঠতাম। চারপাশে ঘন জঙ্গল ছিল। মানবিক কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলো। কিন্তু এখন বন শেষ।’
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে, পরিবেশও রক্ষা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৬:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯
 সারাদিন ডেস্ক::  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ বাড়লে বন ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে। তবে আমাদের পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আইন করেছি, মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। ’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত আধুনিকায়ন হচ্ছে, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আধুনিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা যা যা ব্যবহার করছি তার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তবে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হচ্ছি। উন্নয়ন দরকার, কিন্তু পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। আমাদের বৃক্ষরোপণ করতে হবে, জলাধার রক্ষা করতে হবে।’
দেশের সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, এর পরিচর্যাও করতে হবে। গাছ লাগলে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে রাস্তার পাশে ও জঙ্গলের আশপাশে বসবাসরত লোকদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা এসব গছের যত্ন নেবেন, গাছগুলো বড় হলে বিক্রির পর এর ৭৫ ভাগ লভ্যাংশ পাবেন তারা। আর ২৫ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে। এরাই আবার নতুন করে গাছ লাগাবেন।’
এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় উখিয়ায় যাই, সেসময় সেখানে কোনও রাস্তা ছিল না। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। ফরেস্ট বাংলোতে উঠতাম। চারপাশে ঘন জঙ্গল ছিল। মানবিক কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলো। কিন্তু এখন বন শেষ।’