ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধানসহ দুই সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধান খালেক (৪৮) ও তার সহযোগী (২৯)। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এবং অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা র‌্যাব তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করতে পারেনি।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সজীবুল ইসলাম বলেন, সাগরে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই প্রত্যাহার হচ্ছে। তাই ইলিশ মৌসুমে সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব সুন্দরবন ও সাগরে টহল জোরদার করে। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোররাতে র‌্যাবের একটি দল সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় যায়। এ সময় বনদস্যুরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

রাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে চলে গেলে র‌্যাব সদস্যরা জোংড়ার খাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। দিনের আলো ফুটলে নদীতে থাকা জেলেরা সেখানে এসে এই দুইজনকে খালেক বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করেন। নিহতদের মরদেহ খুলনার দাকোপ থানায় পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে খালেক নামে এক ব্যক্তি ৫/৬ জন সহযোগীকে নিয়ে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি অপরহরণের পর মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে এই খালেক বাহিনী। সর্বশেষ এই খালেক বাহিনী ইলিশ মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে আসা জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রস্তুতি নিতে সুন্দরবনের জোংড়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে বলে র‌্যাবের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধানসহ দুই সদস্য নিহত

আপডেট টাইম ১২:২৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধান খালেক (৪৮) ও তার সহযোগী (২৯)। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এবং অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা র‌্যাব তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করতে পারেনি।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সজীবুল ইসলাম বলেন, সাগরে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই প্রত্যাহার হচ্ছে। তাই ইলিশ মৌসুমে সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব সুন্দরবন ও সাগরে টহল জোরদার করে। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোররাতে র‌্যাবের একটি দল সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় যায়। এ সময় বনদস্যুরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

রাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে চলে গেলে র‌্যাব সদস্যরা জোংড়ার খাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। দিনের আলো ফুটলে নদীতে থাকা জেলেরা সেখানে এসে এই দুইজনকে খালেক বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করেন। নিহতদের মরদেহ খুলনার দাকোপ থানায় পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে খালেক নামে এক ব্যক্তি ৫/৬ জন সহযোগীকে নিয়ে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি অপরহরণের পর মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে এই খালেক বাহিনী। সর্বশেষ এই খালেক বাহিনী ইলিশ মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে আসা জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রস্তুতি নিতে সুন্দরবনের জোংড়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে বলে র‌্যাবের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল।