ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধানসহ দুই সদস্য নিহত

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধান খালেক (৪৮) ও তার সহযোগী (২৯)। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এবং অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা র‌্যাব তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করতে পারেনি।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সজীবুল ইসলাম বলেন, সাগরে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই প্রত্যাহার হচ্ছে। তাই ইলিশ মৌসুমে সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব সুন্দরবন ও সাগরে টহল জোরদার করে। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোররাতে র‌্যাবের একটি দল সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় যায়। এ সময় বনদস্যুরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

রাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে চলে গেলে র‌্যাব সদস্যরা জোংড়ার খাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। দিনের আলো ফুটলে নদীতে থাকা জেলেরা সেখানে এসে এই দুইজনকে খালেক বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করেন। নিহতদের মরদেহ খুলনার দাকোপ থানায় পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে খালেক নামে এক ব্যক্তি ৫/৬ জন সহযোগীকে নিয়ে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি অপরহরণের পর মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে এই খালেক বাহিনী। সর্বশেষ এই খালেক বাহিনী ইলিশ মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে আসা জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রস্তুতি নিতে সুন্দরবনের জোংড়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে বলে র‌্যাবের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধানসহ দুই সদস্য নিহত

আপডেট টাইম ১২:২৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু খালেক বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বনদস্যু খালেক বাহিনীর প্রধান খালেক (৪৮) ও তার সহযোগী (২৯)। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এবং অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা র‌্যাব তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করতে পারেনি।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সজীবুল ইসলাম বলেন, সাগরে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা ২৩ জুলাই প্রত্যাহার হচ্ছে। তাই ইলিশ মৌসুমে সাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব সুন্দরবন ও সাগরে টহল জোরদার করে। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোররাতে র‌্যাবের একটি দল সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় যায়। এ সময় বনদস্যুরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

রাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে চলে গেলে র‌্যাব সদস্যরা জোংড়ার খাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। দিনের আলো ফুটলে নদীতে থাকা জেলেরা সেখানে এসে এই দুইজনকে খালেক বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করেন। নিহতদের মরদেহ খুলনার দাকোপ থানায় পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে খালেক নামে এক ব্যক্তি ৫/৬ জন সহযোগীকে নিয়ে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি অপরহরণের পর মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে এই খালেক বাহিনী। সর্বশেষ এই খালেক বাহিনী ইলিশ মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে আসা জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রস্তুতি নিতে সুন্দরবনের জোংড়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে বলে র‌্যাবের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল।