অনলাইন ডেস্ক ॥ কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন বিজিবির তিন সদস্য। বিজিবির দাবি নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের পূর্ব ল্যাদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন খালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। টেকনাফ বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-২ এর বাসিন্দা মো. ইসলামের ছেলে মো. কামাল (২২) এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ার আবু শামার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (২৩)।
বিজিবির সিও জানান, মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান নাফনদী হয়ে পূর্ব ল্যাদা খাল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে এমন খবর পেয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল পূর্ব ল্যাদা হাইস্কুল সংলগ্ন খালে অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পর ৮ থেকে ১০ জন লোককে হাতে পোটলা নিয়ে সামনের দিকে আসতে দেখলে বিজিবি জওয়ানরা চ্যালেঞ্জ করে।
এ সময় মাদক কারবারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি সদস্য মফিজুর রহমান (২৪), উজ্জ্বল হোসেন (২৬) ও ইমরান হোসেন (২৪) আহত হন। পরে বিজিবিও সরকারি সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে সশস্ত্র মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দেয়ার পর অজ্ঞাত দুই ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে রেফার করা হয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে। শনাক্তের পর বুধবার ভোরে তাদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।