পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি::চলাচলের অযোগ্য খাল খন্দক আর হাটু কাদা ভরা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের টিএনটি এলাকার কাঁদামাটিতে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকার চাষীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাস্তাটির মাঝে এই ধান রোপন করেন বিক্ষুব্ধরা।
পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রে পশ্চিম চৌরাস্তা থেকে দক্ষিন দিকের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কটি একটি ব্যাস্ততম সড়ক। এ সড়ক দিয়ে পৌরসভার ২, ৩, ৪ নং ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর ও ১ নং ওয়ার্ডের মিত্রবাটি গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী দৌলতপুর, হাজীপুর, সেনগাঁও, জাবরহাট, ও বৈরচূনা ইউনিয়নের জনগনের চলাচলের জন্য একমাত্র প্রধান রাস্তা। দুর্ভোগে কবলিত এ সড়কে প্রাণিসম্পদ অফিস, পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস, পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস, টেলিফোন অফিস,ব্র্যাক অফিস, টিএমএসএস, ইএসডিও অফিস, রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ইকো পাঠশালা, মহিলা কলেজ, আরএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন জন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং দোকান পাট রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের লোকজন ও যানবাহন শহরে ঢুকার একমাত্র রাস্তা এটি।। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের পাশাপশি শিক্ষার্থীরা এবং নানা ধরনের ভারী ও হালকা যান চলাচল করে। রাস্তাটি কয়েকবছর ধরে খানা খন্দকে ভড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। খানা খন্দের কারণে যান চলাচলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। রাস্তাটি এলজিইডি’র হওয়ার কারণে পৌরসভার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখিও হয়। এ অবস্থায় জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে গত সোমবার ১৯ জুলাই রাস্তার কার্পেটিং তুলে ইট খোয়া বিছিয়ে রাস্তার নীচু জায়গায় মাটি ভরাট করে রোলার করার কাজ করছে পৌর কতৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ২১ ও ২২ জুলাইয়ের বৃষ্টিতে মাটি ভরাটকৃত রাস্তায় হাটু পরিমান কাদায় ভরপুর হয়ে যায়। কাদা পরিপুর্ন রাস্তাটি সম্র্পূর্নরুপে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে ভূক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ স্বরুপ ২৫ জুলাই দুপুরের দিকে জনবহুল এই রাস্তার টিএন্ডটি এলাকায় ধানের চারা লাগিয়ে দেন। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র কশিরুল আলম বলেন, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পত্র লিখে লিখে আমি ক্লান্ত। অবশেষে যে মুহুত্বে আমি কাজে হাত দিয়েছি সেমুহুত্বে অনবরত বৃষ্টির কারনে কাজ আটকে আছে এবং চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। শিগগীরই এই অবস্থার অবসান হবে বলে তিনি মনে করেন।