ক্রেতা সেজে মানবদেহে মশক প্রতিরোধী মলম ওডোমস কিনেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। আর হাতেনাতে পেয়েছেন বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ। এই অপরাধে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর তিনটি ফার্মেসি।
রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর কলাবাগানের বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে এ অনিয়ম পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যলয়ের বাজার তদারকি দল। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান, আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অন্য কর্মকর্তারা।
অভিযান বিষয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কলাবাগানের বেশ কয়েকটি ফার্মেসি বেশি দামে ওডোমস বিক্রি করছে, এমন অভিযোগে ক্রেতা সেজে ছদ্মবেশে কলাবাগের বেশ কয়েকটি ফার্মেসি থেকে পণ্যটি কেনেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় বেশকিছু ফার্মেসি ঠিক দামে ওডোমস বিক্রি করলেও অন্তত তিনটি ফার্মেসিতে বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা যখন ক্রেতা সেজে ওষুধ কিনেছি তখন ফার্মেসিগুলো আমাদের কোনো রসিদ দেয়নি। এটাও একটি অপরাধ। এরপর তিনটি ফার্মেসিতে বেশি দামে ওডোমস বিক্রি হতে দেখেছি আমরা। ১২৫ টাকায় কেনা অডোমস ৩০০ টাকা, ৩৫০ টাকা এমনকী ৫০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন কেউ কেউ। এটা তো হতে পারে না।
‘দেশে একটি সমস্যা তৈরি হলে কিছু ব্যবসায়ী এভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন, পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন- এগুলো তো মানা যায় না। তাই আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করছি। এখানে দেশ ফার্মেসি, সুইস ফার্মেসি ও মাই ফার্মেসিতে আমরা বেশি দামে ওডোমস বিক্রি হতে দেখেছি। ফার্মেসিগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। সোমবার মালিকদের আমাদের অফিসে ডেকেছি। জরিমানা তো হবেই, সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা সিদ্ধান্ত হবে।’
একই সঙ্গে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে নির্দিষ্ট ও সহনীয় দামে মশক সম্পর্কিত ওষুধ বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে কোথাও যদি বেশি দামে এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখেন কোনো নাগরিক, তাহলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শও দেন মঞ্জুর।