ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ১৫ বছর ধরে : সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ১৪৪ ধারা জারি গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে আল-হাসানার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন প্রতিবাদসভা আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ, জামিন আবেদন আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, ঢাকার প্রস্তাব দ্বিধায় দিল্লি সত্যের মুখোমুখি আসিফ নজরুল পীরগঞ্জে মাস ব্যাপী হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন সংখ্যালঘুদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা পবিত্র শবে কদর আজ

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ, দেশীয় বাজার অস্থীর

সারাদিন ডেস্ক::  চলতি মৌসুমে ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভারত এবার পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিল।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর ) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়তে শুরু করেছে। শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে কেজি প্রতি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দিল্লি, মুম্বাই, লাক্ষনৌতে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কলকাতাতেও ৬৫ থেকে ৭ট টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যদিকে পোর্ট ব্লেয়ারে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে েপেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কম দামে সরকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা করেছেন। আর পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার।

এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে রোববার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে, যার একটি বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশে।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মত। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। স্বল্প দূরত্ব আর সহজলভ্যতার কারণে আমদানির বেশিরভাগটা ভারত থেকেই হয়।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আর ওই খবরে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক কর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।

দেশের চাহিদা পূরণে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার,মিশর ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এক সপ্তাহ আগেও বলেছিলেন, ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, দাম দ্রুত কমে আসবে। কিন্তু তার মধ্যেই রোববার ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা এল। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া তা দেশের বাজারে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ, দেশীয় বাজার অস্থীর

আপডেট টাইম ০৭:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক::  চলতি মৌসুমে ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভারত এবার পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিল।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর ) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়তে শুরু করেছে। শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে কেজি প্রতি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দিল্লি, মুম্বাই, লাক্ষনৌতে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কলকাতাতেও ৬৫ থেকে ৭ট টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যদিকে পোর্ট ব্লেয়ারে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে েপেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কম দামে সরকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা করেছেন। আর পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার।

এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে রোববার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে, যার একটি বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশে।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মত। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। স্বল্প দূরত্ব আর সহজলভ্যতার কারণে আমদানির বেশিরভাগটা ভারত থেকেই হয়।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আর ওই খবরে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক কর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।

দেশের চাহিদা পূরণে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার,মিশর ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এক সপ্তাহ আগেও বলেছিলেন, ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, দাম দ্রুত কমে আসবে। কিন্তু তার মধ্যেই রোববার ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা এল। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া তা দেশের বাজারে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।