ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শিল্পপতির চাঁদাবাজী মামলা ‘সেভ পীরগঞ্জ’ গ্রুপের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতে যাওয়ার সময় দানাজপুর সীমান্তে ৩ টি মোটর সাইকেল সহ ৪ যুবক আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মানবজমিনের রেজাউল পীরগঞ্জে শতবর্ষী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নিতীর হোতাদের বিচারের দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ মুসলিমদের উপর যে তান্ডব চলেছে, হিন্দুদের উপর তার ছিটেফোটাও হয়নি- হিন্দু বৌদ্ধ কৃষ্টান কল্রান ফান্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো ঢাকা মেডিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘বেঁধে দিলেন’ কাদের সিদ্দিকী! পদত্যাগ করছেন প্রধান বিচারপতি

রিমান্ড কেন চাইলো না, প্রশ্ন বিচারকের

সারাদিন ডেস্ক::   চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) দুই পরিচালক শাকিল কামাল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন শিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. আশফাক রাজীব হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

বিকেল পৌনে ৪টায় আদালতে কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানিকালে বিচারক মামলাটিতে আসামিদের রিমান্ড না চাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, বুঝলাম না, কেন রিমান্ড চাইলো না?

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, হয়তো পুলিশ পরে রিমান্ড চাইবে।

পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন।

কারাগারে আটক রাখার আবেদন তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বাদীর বাড়ী চাঁপাইনাবাবগঞ্জ। আসামি শাকিলের সাথে তার ৭/৮ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। বাদী আসামি শাকিলকে একটি চাকরির কথা বলে। পরে শাকিল তাকে ঢাকায় আসতে বলেন। সে অনুযায়ী বাদী ঢাকায় আসেন এবং আসামির কথা মতো গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৩টার বাদী ধানমন্ডি থানাধীন রোড নং-১৩, বাড়ী নং-৮, ফ্ল্যাট নং-ই/বি রিহাবের অফিসের উত্তর-পূর্ব পাশের কক্ষে আসে। সেখানে আসামি শাকিল ও মহিউদ্দিন ছিল। তখন বাদী কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি মহিউদ্দিন সোফার ওপর বাদীকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় আসামি শাকিল বাদীর হাত ও মাথা ধরে রাখে এবং আসামি মহিউদ্দিন ধর্ষণের পর আসামি শাকিল তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর আসামিরা তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। এরপর আসামি শাকিল বাথরুমে গেলে বাদী আসামি মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে দরজা খুলে পালিয়ে আসে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে রোববার বিকেলে আসামিদের ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

রিমান্ড কেন চাইলো না, প্রশ্ন বিচারকের

আপডেট টাইম ০৭:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক::   চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) দুই পরিচালক শাকিল কামাল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন শিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. আশফাক রাজীব হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

বিকেল পৌনে ৪টায় আদালতে কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানিকালে বিচারক মামলাটিতে আসামিদের রিমান্ড না চাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, বুঝলাম না, কেন রিমান্ড চাইলো না?

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, হয়তো পুলিশ পরে রিমান্ড চাইবে।

পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন।

কারাগারে আটক রাখার আবেদন তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বাদীর বাড়ী চাঁপাইনাবাবগঞ্জ। আসামি শাকিলের সাথে তার ৭/৮ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। বাদী আসামি শাকিলকে একটি চাকরির কথা বলে। পরে শাকিল তাকে ঢাকায় আসতে বলেন। সে অনুযায়ী বাদী ঢাকায় আসেন এবং আসামির কথা মতো গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৩টার বাদী ধানমন্ডি থানাধীন রোড নং-১৩, বাড়ী নং-৮, ফ্ল্যাট নং-ই/বি রিহাবের অফিসের উত্তর-পূর্ব পাশের কক্ষে আসে। সেখানে আসামি শাকিল ও মহিউদ্দিন ছিল। তখন বাদী কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি মহিউদ্দিন সোফার ওপর বাদীকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় আসামি শাকিল বাদীর হাত ও মাথা ধরে রাখে এবং আসামি মহিউদ্দিন ধর্ষণের পর আসামি শাকিল তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর আসামিরা তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। এরপর আসামি শাকিল বাথরুমে গেলে বাদী আসামি মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে দরজা খুলে পালিয়ে আসে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে রোববার বিকেলে আসামিদের ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।