ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, এমন কিছু করবে না ভারত’

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, বন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না যাতে দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পারস্পারিক বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরির প্রেক্ষাপটে সেখান থেকে শত শত মানুষ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। যদিও এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই উল্লেখ করে আসছে ঢাকা।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার বার্ষিকী উপলক্ষে একত্রিত হয়েছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উভয় দেশ অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় এই দু’দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও বোঝাপড়ায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়তর জায়গায় রয়েছে। যার ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোনালী অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন এ সম্পর্ককে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দু’দেশের সরকারপ্রধানের অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নিঃসন্দেহে আরও অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। আমরা আশাবাদী যে আগামীতে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

‘জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, এমন কিছু করবে না ভারত’

আপডেট টাইম ০২:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, বন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না যাতে দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পারস্পারিক বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরির প্রেক্ষাপটে সেখান থেকে শত শত মানুষ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। যদিও এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই উল্লেখ করে আসছে ঢাকা।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার বার্ষিকী উপলক্ষে একত্রিত হয়েছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উভয় দেশ অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় এই দু’দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও বোঝাপড়ায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়তর জায়গায় রয়েছে। যার ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোনালী অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন এ সম্পর্ককে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দু’দেশের সরকারপ্রধানের অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নিঃসন্দেহে আরও অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। আমরা আশাবাদী যে আগামীতে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে।