আজম রেহমান,ঠাকুরগা::
ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে এসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম কতৃক এক ইউপি সদস্যকে লাঞ্চিত করার অভিযোগটি অবশেষে শান্তপুর্ন মিমাংশা হয়েছে। শনিবার এসিল্যান্ড’র কার্যালয়ে উভয়ের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির আপোষরফা হয় এবং ইউপি সদস্য তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।
শনিবার দুপুরে ইউপ সদস্য গাজিউর রহমান, এসিল্যান্ড কতৃক লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার কালুপীর বাজারে জনসমাগম ঠেকাতে শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্রাম পুলিশ ও থানার এস আই রেজাউল আলম সহ সঙ্গীয় ৬ জন পুলিশ ফোর্স নিয়ে চেষ্টা চালান সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য গাজিউর রহমান। সন্ধ্যার দিকে তারা বাজারের একটি ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনে খাচ্ছিলেন। এ সময় এসিল্যান্ড (সহকারি কমিশনার ভূমি) তরিকুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে সেখানে যান। এ সময় ঐ ইউপি সদস্য এগিয়ে আসলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন এসিল্যন্ড।
এসময় পুলিশ সদস্যরা এসিল্যান্ডকে জানান, তিনি ঐ এলাকার ইউপি সদস্য, তাকে মারছেন কেন? এটা শুনার পরও এসিল্যান্ড তাকে পেটাতে থাকে। একটি লাঠি ভেঙ্গে গেলে আরো একটি লাঠি নিয়ে ইউপি সদস্যকে পেটান এসিল্যান্ড এবং গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ঐ ইউপি সদস্যকে রক্ষা করেন। স্বজনরা রাতেই গাজি মেম্বারকে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
গাজি মেম্বারের অভিযোগ, ইউপি সদস্য পরিচয় পাওয়ার পর তাকে আরও বেশি করে পেটান এসিল্যান্ড। মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
এ বিষয়ে এসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম জানান, রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন ঐ মেম্বার। এ জন্য তিনি নন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে ফোর্স করেন। এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি।
পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির শান্তিপুর্ন আপোষরফা হয় এবং ইউপি সদস্য আর অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দায়িত্ব পালনকালে নানা মূখী চাপ থাকে, এ সময় সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকা জরুরী এবং সকলের সহনশীলতা প্রয়োজন। তিনি অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য অনুসোচনা পোষন করেন।
এ বিষয়ে আলাপ কালে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, এসিল্যান্ড সাহেব অত্যন্ত ভদ্র এবং কর্মঠ অফিসার। তিনি সারাদিন কোন না কোন কাজে অবিরাম ছুটে বেড়ান, তার দ্বারা এ ধরনের আচরন আশা ব্যান্জক নয় তবু আমি তার সাথে কথা বলেছি এবং মাথা ঠান্ডা রেখে সরকারী দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছি এবং তিনিও বলেছেন এ ধরনের অভিযোগ ভবিষ্যতে আর উঠবেনা।