ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত যথার্থ নয়, আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন খারাপের দিকে যাওয়ার সময় কারখানাগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত যথার্থ নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো লকডাউন যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষজনকে বাধ্য করতে পারিনি। মানুষ এখনো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা যদি কারখানাগুলো আবার চালু করি, আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর করোনাভাইরাসের হটস্পট (সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত এলাকা), যেখানে বেশিরভাগ কারখানা অবস্থিত। আমরা যদি এসব এলাকার শ্রমিকদের কারখানায় কাজ করার অনুমতি দেই, তবে ভাইরাসটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে। করোনা আক্রান্ত কর্মীর মাধ্যমে অন্য সব সহকর্মীদের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি করোনার কোনো উপসর্গ ছাড়াই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি আমাদের অনেক ডাক্তার ও নার্স সতর্ক থাকা সত্ত্বেও এবং মাস্ক ও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) পরেও করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। সেজন্য আমরা যদি আমাদের কর্মীদের কারখানায় কাজ করার অনুমতি দেই, তাহলে আমরা দেশের জন্য একটি বিরাট বিপদ ডেকে আনব। করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’

এর আগে গত শনিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দেশের রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো অবশ্যই ধীরে ধীরে আবার চালু করতে হবে।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা সুইডেন মডেল আমাদের সামনে রেখেছি, তারা লকডাউন প্রয়োগ করেনি। চীনের উহানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। জার্মানি ও ফ্রান্স এখনো ভুগছে, নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে এরইমধ্যে তাদের কারখানা চালু করছেন তারা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত যথার্থ নয়, আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে

আপডেট টাইম ১২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন খারাপের দিকে যাওয়ার সময় কারখানাগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত যথার্থ নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো লকডাউন যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষজনকে বাধ্য করতে পারিনি। মানুষ এখনো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা যদি কারখানাগুলো আবার চালু করি, আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর করোনাভাইরাসের হটস্পট (সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত এলাকা), যেখানে বেশিরভাগ কারখানা অবস্থিত। আমরা যদি এসব এলাকার শ্রমিকদের কারখানায় কাজ করার অনুমতি দেই, তবে ভাইরাসটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে। করোনা আক্রান্ত কর্মীর মাধ্যমে অন্য সব সহকর্মীদের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি করোনার কোনো উপসর্গ ছাড়াই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি আমাদের অনেক ডাক্তার ও নার্স সতর্ক থাকা সত্ত্বেও এবং মাস্ক ও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) পরেও করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। সেজন্য আমরা যদি আমাদের কর্মীদের কারখানায় কাজ করার অনুমতি দেই, তাহলে আমরা দেশের জন্য একটি বিরাট বিপদ ডেকে আনব। করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’

এর আগে গত শনিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দেশের রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো অবশ্যই ধীরে ধীরে আবার চালু করতে হবে।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা সুইডেন মডেল আমাদের সামনে রেখেছি, তারা লকডাউন প্রয়োগ করেনি। চীনের উহানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। জার্মানি ও ফ্রান্স এখনো ভুগছে, নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে এরইমধ্যে তাদের কারখানা চালু করছেন তারা।