ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠা কুরগাঁও জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে জেলা প্রশাসন পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছে। শনিবার করোনা রোগীরা যেসব আইসুলেশন ওয়ার্ড বা বিশেষ ব্যবস্থায় আছেন তার প্রতিটি দড়জায় দড়জায় গিয়ে এসব খাবার দিয়ে আসলেন জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তাঁদের সাথে কথা বললেন সাহস যোগালেন তিনি। তাদেরকে খবর শোনালেন ১৬ রোগীর ৩ জন সেরে উঠে চলে গেছেন বাড়ি,আপনারাও সেরে উঠবেন, শুধু একটু ধৈর্য্য ধরে ডাক্তারদের কথামতো কাজ করতে হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ,রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুরের ১২ জন করোনা রোগীর মধ্যে এ পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান দেন জেলা প্রশাসন। এ সময় উপহার সামগ্রী হিসেবে পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ।
রোগীদের সাথে সাক্ষাৎকালে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম তাদের মনোবল অটুট রেখে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেন। একই সাথে রোগীদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সদয় আচরণ করার জন্য প্রতিবেশীদের অনুরোধ করেন তিনি। তিনি আরও রোগীদের যেকোন সমস্যায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সকল রোগীদের জেলা প্রশাসন এর উপহার হিসেবে পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে ভীত না হয়ে সকলে সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার রাতের রিপোর্টে নতুন ৩ জন আক্রান্ত হওয়ার আগে এ জেলার ৫ উপজেলায় ১৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত হন। এর মধ্যে ১ শিশু ২ জন যুবকসহ ৩ জন সেরে উঠে বাড়ি চলে যান এবং একজনকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। বাকি ১২ জনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুষ্টিকর খাবার দেয় জেলা প্রশাসন, এছাড়া লকডাউন এলাকায় খাবার সরবরাহ করে। রোগীদের সবাইকে প্রতিদিন মনিটরিং করছে স্বাস্থ্যবিভাগ আর বাইরে থেকে মানুষজনের আসা বন্ধ করা, মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা, দোকানপাট অফিসে লকডাউন মানা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে পাহাড়া দিচ্ছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
করোনা রোগীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার প্রদানের এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর কুতুবুল আলম, পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যেক রোগীকে আপেল, কমলা, পেয়ারা, কলা, তরমুজ, হরলিক্সসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করা হয়। এসময় রোগী ও স্বজনেরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সাংবাদিকদের কাছে। করোনা নিয়ে আকাশ কুসুম ভাবনার জায়গায় এখন তারা মনে করছেন, এটা মোকাবিলা সম্ভব বলে তারা জানান!