ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::বিশিষ্ট অভিনেতা লিটু আনামের ঠাকুরগাঁও আশ্রম পাড়ার বাড়িতে খাবারের সাথে চেতনাশক ওষুধ মিশিয়ে ও স্প্রে করে পরিবারে পাঁজনকে অজ্ঞান করে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকাসহ বাড়ীর মালামাল চুরির মামলায় বাড়ির কাজের বুয়াসহ আন্ত:জেলা চোর চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহা: মনিরুজ্জামান ।
পুলিশ সুপার মোহা: মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, গত ৯মার্চ দিবাগত রাতে বিশিষ্ট অভিনেতা লিটু আনামের ঠাকুরগাঁওয়ের আশ্রমপাড়ার বাড়িতে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষুধ মিশিয়ে ও কক্ষে স্প্রে করে পরিবারের সকলকে অচেতন করে স্টিল আলমারি, ওয়ারড্রপ,ডেসিন টেবিলের ড্রেয়ার ভেঙ্গে সোনার গহনা ও নগদ টাকাসহ মোট ৫২ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় পরদিন ১০মার্চ লিটু আনামের বড় ভাই শফিউল এনাম পারভেজ বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মর্তুজা নিবিড়ভাবে তদন্ত ও বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্ত:জেলা চোর চক্রের নয় সদস্য ও চুরি হওয়া মালামাল থেকে ২০ভরি সোনা, ৬ভরি রুপা এবং নগদ ১৮হাজার ৪০টাকা সহ চুরির কাজে ব্যাবহৃত বিভিন্ন সারঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি থানার আলোয়াখোয়া গ্রামের আজিজুল হক কান্দুর ছেলে শাহজাহান আলম ওরফে টিএনও (৩১), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাদারগঞ্জ এলাকার আছিম উদ্দীনের ছেলে আকতারুল ইসলাম দুর্বল (৪২), আকতারুল ইসলাম দুর্বলের স্ত্রী মোছা: রুপালি নেসা (৩৭), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিবগঞ্জ এলাকার মৃত আজিুলের ছেলে লুৎফর রহমান (৩০), পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি থানার রাধানগর গ্রামের মোকছেদের ছেলে লিটন (২৮), দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার সুজালপুর গ্রামের আসরাফ হোসেনের ছেলে মাহমুদ আলম (৩৫), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নিশ্চিন্তপুর শাহপাড়া গ্রামের মৃত কাজি আমিরুল ইসলামের ছেলে কাজি আক্তার (৫৫), তার স্ত্রী মোছা: রওশন বেগম ও ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মুন্সিপাড়ার জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও লিটু আনামের বাড়ির কাজের বুয়া মোছা: তানজিলা (৩৫) । গ্রেফতারকৃত আসামীরা ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে তাদের জবানবন্দি প্রদান করেদোষ স্বিকার করেন । পুলিশ সুপা আরো জানান, মামলাটি চলমান রয়েছে এবং এর সাথে সম্পৃক্ত আরো কেউ থেকে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।