ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে টার্পেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক পীরগঞ্জে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যান চালকের চালকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি হলেন বাবলু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ জায়া’রা ভিক্ষাবৃত্তি করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পীরগঞ্জে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় র‌্যালী পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা ছাদে অবৈধ রেস্তোরাঁ, সিলিন্ডারে লিকেজ: ল্যাবএইড হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা অকটেনে ৪ টাকা, পেট্রোলে ৩ টাকা, ডিজেলে ৭৫ পয়সা কমল মজুতদারি-কালোবাজারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে সিআইডির ১২ টিম

দোকান বন্ধের নির্দেশনা মানছেননা পীরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান পরিচালনার কারনে সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জেলা প্রশাসন কতৃক বস্ত্র কসমেটিক্স ও জুতার দোকান সমূহ বন্ধ ঘোষনা করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। জেলার পীরগঞ্জ শহরের দোকানগুলো খোলা রেখে বেচাকেনা অব্যাহত রেখেছে। এতে অসচেতন গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীরে সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ।
২০ মে শহরের ঢাকাইয়া পট্টি ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা অনেকেই মাস্ক না পরেই মার্কেটে ঘুরছেন, কেনাকাটা করছেন। মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী মাস্ক না পরেই কাপড় বিক্রি করছেন। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে অনেকটা গাদাগাদি করেই বেচাকেনা করা হচ্ছে। খোদ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান নান্নুর মালিকানাধীন মেসার্স বজলুর রহমান ক্লথ ষ্টোরে গ্রাহকের অস্বাভাবিক ভীর লক্ষ্য করা গেছে। কাল ৯ টা থেকেই শুরু হয় দোকানের বেচাকেনা। প্রতিটি দোকানের একটি করে অংশ খোলা রেখে ভিতরে গ্রাহকদের একযোগে ঢুকিয়ে নিয়ে দেদারসে বেচাকেনা চালানো হচ্ছে। শুধু দোকান মালিক সমিতির সভাপতির দোকান নয় একইভাবে বড় বড় কাপড়ের দোকান জুতার দোকান ও কসমেটিকস এর দোকানেও চলছে একইরকম ভীড়। অবস্থা দেখে মনে হয় সব কিছু উম্মুক্ত। তবে ব্যাক্তি উদ্যোগে একজন ভলান্টিয়ার মো. রফিকুল ইসলাম তার হ্যান্ড মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটার জন্য সচেতন করছেন গ্রাহকদের। দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও এখানে নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য কোন ভুমিকা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করছি। এর পরেই সাড়ে ১২টার দিকে এসি ল্যান্ড তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে বাশি ফুকিয়ে কিছুক্ষনের জন্য দোকান বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। প্রায় ৫ মিনিট বন্ধ রাখার পর পুলিশের লোকজন চলে যাওয়ার পরপরই দোকানগুলো পূনরায় খুলে দেয়া হয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান এই বাজারে প্রায় ২ শতাধিক দোকান রয়েছে, দোকান প্রতি ১ হাজার টাকা করে চাদা আদায় করা হয়েছে মালিক সমিতির পক্ষ হতে। সমিতির পক্ষ হতে বলা হয়েছে এই করোনা পরিস্তিতিতে দোকান খোলা রাখার জন্য প্রশাসন ম্যানেজে এই অর্থ দেয়া হবে। আর প্রশাসনের লোকজন যে মুহুত্বে আসবে সেই সময়ে দোকান বন্ধ করে দিয়ে কিছুক্ষন পরেই আবার খোলা যাবে। যেমন চুক্তি তেমন কাজ। বাজারে এত বড় ভীড়েও সেখানে কোন পুলিশ পোষ্টিং নেই। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একটা করে সাটার খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপরে জানার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জের সরকারী নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওযা যায়নি তবে পুলিশ সুপার মোহাম্দ মনিরুজ্জামান বলেছেন, সংক্রামক ব্যাধি আইনে সরকারী নির্দেশ লংঘনের দায়ে দায়ী দোকানদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ইউএনও বা এসিল্যান্ড’র চাহিদা মোতাবেক পুলিশ ফোর্স দেয়া হয়। মূলত এটি নিয়ন্ত্রনের জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকেন, তবুও তিনি বিষয়টি থানার ওসিকে জানাবেন বলে জানান। এলাকাবাসী মহামারী ঠেকাতে জনগনের স্বাস্থ্য বিধি মান্য করাসহ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে টার্পেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

দোকান বন্ধের নির্দেশনা মানছেননা পীরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

আপডেট টাইম ০৩:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান পরিচালনার কারনে সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জেলা প্রশাসন কতৃক বস্ত্র কসমেটিক্স ও জুতার দোকান সমূহ বন্ধ ঘোষনা করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। জেলার পীরগঞ্জ শহরের দোকানগুলো খোলা রেখে বেচাকেনা অব্যাহত রেখেছে। এতে অসচেতন গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীরে সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ।
২০ মে শহরের ঢাকাইয়া পট্টি ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা অনেকেই মাস্ক না পরেই মার্কেটে ঘুরছেন, কেনাকাটা করছেন। মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী মাস্ক না পরেই কাপড় বিক্রি করছেন। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে অনেকটা গাদাগাদি করেই বেচাকেনা করা হচ্ছে। খোদ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান নান্নুর মালিকানাধীন মেসার্স বজলুর রহমান ক্লথ ষ্টোরে গ্রাহকের অস্বাভাবিক ভীর লক্ষ্য করা গেছে। কাল ৯ টা থেকেই শুরু হয় দোকানের বেচাকেনা। প্রতিটি দোকানের একটি করে অংশ খোলা রেখে ভিতরে গ্রাহকদের একযোগে ঢুকিয়ে নিয়ে দেদারসে বেচাকেনা চালানো হচ্ছে। শুধু দোকান মালিক সমিতির সভাপতির দোকান নয় একইভাবে বড় বড় কাপড়ের দোকান জুতার দোকান ও কসমেটিকস এর দোকানেও চলছে একইরকম ভীড়। অবস্থা দেখে মনে হয় সব কিছু উম্মুক্ত। তবে ব্যাক্তি উদ্যোগে একজন ভলান্টিয়ার মো. রফিকুল ইসলাম তার হ্যান্ড মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটার জন্য সচেতন করছেন গ্রাহকদের। দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও এখানে নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য কোন ভুমিকা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করছি। এর পরেই সাড়ে ১২টার দিকে এসি ল্যান্ড তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে বাশি ফুকিয়ে কিছুক্ষনের জন্য দোকান বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। প্রায় ৫ মিনিট বন্ধ রাখার পর পুলিশের লোকজন চলে যাওয়ার পরপরই দোকানগুলো পূনরায় খুলে দেয়া হয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান এই বাজারে প্রায় ২ শতাধিক দোকান রয়েছে, দোকান প্রতি ১ হাজার টাকা করে চাদা আদায় করা হয়েছে মালিক সমিতির পক্ষ হতে। সমিতির পক্ষ হতে বলা হয়েছে এই করোনা পরিস্তিতিতে দোকান খোলা রাখার জন্য প্রশাসন ম্যানেজে এই অর্থ দেয়া হবে। আর প্রশাসনের লোকজন যে মুহুত্বে আসবে সেই সময়ে দোকান বন্ধ করে দিয়ে কিছুক্ষন পরেই আবার খোলা যাবে। যেমন চুক্তি তেমন কাজ। বাজারে এত বড় ভীড়েও সেখানে কোন পুলিশ পোষ্টিং নেই। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একটা করে সাটার খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপরে জানার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জের সরকারী নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওযা যায়নি তবে পুলিশ সুপার মোহাম্দ মনিরুজ্জামান বলেছেন, সংক্রামক ব্যাধি আইনে সরকারী নির্দেশ লংঘনের দায়ে দায়ী দোকানদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ইউএনও বা এসিল্যান্ড’র চাহিদা মোতাবেক পুলিশ ফোর্স দেয়া হয়। মূলত এটি নিয়ন্ত্রনের জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকেন, তবুও তিনি বিষয়টি থানার ওসিকে জানাবেন বলে জানান। এলাকাবাসী মহামারী ঠেকাতে জনগনের স্বাস্থ্য বিধি মান্য করাসহ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।