ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

ঠাকুরগাঁওয়ে টোলের নামে চলছে চাঁদাবাজি,বছরে যার পরিমান ২ কোটির উপরে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে প্রশাসনকে কোন তোয়াক্কা না করেই ক্ষমতাসীন যুবলীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে টোল আদায়ের নামে (ব্যাটারি চালিত) অটো চার্জার ও ট্রাকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকরা। চাঁদাবাজি
বন্ধে শ্রমিকরা একাধিকবার স্থানিয় প্রশাসনকে অবগত করলেও এসব বন্ধে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি বলেও জানান তারা।

সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১০টি পয়েন্টে লাঠি হাতে ট্রাক ও অটোবাইক আটকিয়ে জবরদস্তি টোল আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি । শুধু ঠাকুরগাঁও পৌর শহরেই নয়, জেলার পাঁচ উপজেলার সকল সড়কেই
এখন বিভিন্ন সংগঠনের নামে প্রকাশ্যে চলছে এসব । আর এই চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের স্থানিয় অনেকেই। সদর উপজেলার পৌর শহরে ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ ও শ্রমিকদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সমাজ কল্যাণসহ বিভিন্ন তহবিলের নামে চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্থানে জোড়করে চাঁদা আদায় ও হয়রানি করে আসছে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, একজন শ্রমিক সারা দিন গাড়ি চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা থেকে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আর মালিকের পাওনা শোধ করে আর তেমন কিছু টিকে না। এঅবস্থায় সংসার চালানো খুবই কষ্ট হয়ে গেছে তাদের। চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের উপর চালানো হয় শারিরিক নির্যাতন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।

শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব আলম রুবেল জানান, প্রদিদিন গড়ে অটো চার্জার প্রতি রশিদ ১০টাকা হারে ৫হাজার চালকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা উঠানো হয়। যা মাসে ১৫ লক্ষ টাকা আর বছরে দাড়ায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে প্রতিটি ট্রাক ও ট্যাংলরির কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের এসব চাঁদার টাকা ভোগ করে ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্র।

ভুক্তভোগী শ্রমিক বেলাল হোসেন জানান, করোনার জন্য প্রায় দুইমাস তারা রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারে নাই। লকডাউন শিথিল হলে রাস্তায় অটো চালাচ্ছেন।কিন্তু তাতেও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই নেই তাদের। প্রতিদিন মালিকের
জমা খরচ ও নিজের সংসারের খরচ উঠানোই যেখানে অনেক কষ্টের বিষয়, সেখানে সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে লাঠি হাতে জোড় করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ থাকছে।

শ্রমিক আনোয়ার হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রমিকরা এখন চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। রাস্তায় গাড়ি নামালেই দিতে হচ্ছে চাঁদা। যেখানে সরকার বিভিন্ন মিডিয়ায় বলে আসছেন করোনা পরিস্থিতির জন্য সড়ক ও মহাসড়কে কোন চাঁদা উঠানো
যাবে না, শ্রমিকদের হয়রানি করা যাবেনা। সেখানে প্রকাশ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা চাঁদাবাজি করছে।

আরেক শ্রমিক শাহজাহান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাস পরিবার নিয়ে খাদ্যাকষ্টে কেটেছে তাদের দিন। তখন চাঁদাবাজরা কোন শ্রমিকের পাশে দাড়ায় নাই। শ্রমিকরা খেয়ে আছে না মরে গেছে তার খবরও কেউ নেয় নাই। তাহলে বছরের
পর বছর বিভিন্ন তহবিলের নামে যে চাঁদা উঠানো হয় তা যায় কোথায় , কারা শ্রমিকদের কষ্টের টাকা ভোগ করে ? একই কথা জানান, ভুক্তভোগী কয়েকশত শ্রমিক, তারা চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পেতে চায় ।

জেলা অটো চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক এসএম লাবু জানান, সড়কে লাঠি হাতে জোড় করে চাাঁদা উঠানো এবং চাঁদা না পেলে শ্রমিকদের নির্যাতন করা এটা দেশের অন্য কোথাও আছে বলে তার জানা নেই। চাঁদা বন্ধের দাবীতে সকল
শ্রমিকরা অনেকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু প্রশাসন এবিষয়ে তেমন কোন ভূমিকা পালন করছেনা। সম্প্রতি চাঁদা বন্ধে মানবন্ধন, বিক্ষোভ ও পৌর মেয়রের পুত্তলিকা দাহ সহ জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। তাই দরিদ্র শ্রমিকদের বাঁচাতে দ্রুত এই অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা
হবে। ট্রাক ও অটো টোল আদায়কারি (চাঁদাবাজ) মোহাম্মদ বিপ্লবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি শুধুমাত্র টোল আদায়কারি হিসেবে কাজ করি। স্থানিয় যুবলীগনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর নির্দেশে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
গোবিন্দনগর বিসিক মোড় এলাকার দুটি পয়েন্টের প্রতিদিনের চাঁদার টাকা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ভাইকে দেয়া হয়। বাবু ভাই জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক সমির দত্তের আওতায় কাজ করে, এছাড়া আরো কয়েকজন নেতা এর সাথে জড়িত।
এবিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নাই। আর জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল জানান, দলের পরিচয়ে বা প্রভাব খাটিয়ে কেউ যদি কোন অপকর্ম করে থাকে সে দায়ভার তার
নিজের। এবিষয়ে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন জানান, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে পৌরটোল আদায় করা হয়। তবে অন্য নামে পৌর এলাকায় কেউ টোল আদায় বা চাঁদাবাজির কথা তিনি শুনেছেন। অন্য সংগঠনের নামে পৌর এলাকায় কেউ টোল করে
থাকলে আইনশৃঙ্খলা সংস্থার সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হেসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সড়ক ও মহাসড়কে সরকার সকল প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ ও অবৈধ ঘোষনা করছেন।
এরপরও যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ প্রভাব খাটিয়ে বা দলীয় পরিচয়ে চাঁদা উত্তলোন করে । তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইন অমান্যকারি কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ঠাকুরগাঁওয়ে টোলের নামে চলছে চাঁদাবাজি,বছরে যার পরিমান ২ কোটির উপরে

আপডেট টাইম ০৩:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে প্রশাসনকে কোন তোয়াক্কা না করেই ক্ষমতাসীন যুবলীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে টোল আদায়ের নামে (ব্যাটারি চালিত) অটো চার্জার ও ট্রাকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকরা। চাঁদাবাজি
বন্ধে শ্রমিকরা একাধিকবার স্থানিয় প্রশাসনকে অবগত করলেও এসব বন্ধে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি বলেও জানান তারা।

সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১০টি পয়েন্টে লাঠি হাতে ট্রাক ও অটোবাইক আটকিয়ে জবরদস্তি টোল আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি । শুধু ঠাকুরগাঁও পৌর শহরেই নয়, জেলার পাঁচ উপজেলার সকল সড়কেই
এখন বিভিন্ন সংগঠনের নামে প্রকাশ্যে চলছে এসব । আর এই চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের স্থানিয় অনেকেই। সদর উপজেলার পৌর শহরে ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ ও শ্রমিকদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সমাজ কল্যাণসহ বিভিন্ন তহবিলের নামে চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্থানে জোড়করে চাঁদা আদায় ও হয়রানি করে আসছে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, একজন শ্রমিক সারা দিন গাড়ি চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা থেকে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আর মালিকের পাওনা শোধ করে আর তেমন কিছু টিকে না। এঅবস্থায় সংসার চালানো খুবই কষ্ট হয়ে গেছে তাদের। চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের উপর চালানো হয় শারিরিক নির্যাতন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।

শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব আলম রুবেল জানান, প্রদিদিন গড়ে অটো চার্জার প্রতি রশিদ ১০টাকা হারে ৫হাজার চালকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা উঠানো হয়। যা মাসে ১৫ লক্ষ টাকা আর বছরে দাড়ায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে প্রতিটি ট্রাক ও ট্যাংলরির কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের এসব চাঁদার টাকা ভোগ করে ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্র।

ভুক্তভোগী শ্রমিক বেলাল হোসেন জানান, করোনার জন্য প্রায় দুইমাস তারা রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারে নাই। লকডাউন শিথিল হলে রাস্তায় অটো চালাচ্ছেন।কিন্তু তাতেও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই নেই তাদের। প্রতিদিন মালিকের
জমা খরচ ও নিজের সংসারের খরচ উঠানোই যেখানে অনেক কষ্টের বিষয়, সেখানে সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে লাঠি হাতে জোড় করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ থাকছে।

শ্রমিক আনোয়ার হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রমিকরা এখন চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। রাস্তায় গাড়ি নামালেই দিতে হচ্ছে চাঁদা। যেখানে সরকার বিভিন্ন মিডিয়ায় বলে আসছেন করোনা পরিস্থিতির জন্য সড়ক ও মহাসড়কে কোন চাঁদা উঠানো
যাবে না, শ্রমিকদের হয়রানি করা যাবেনা। সেখানে প্রকাশ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা চাঁদাবাজি করছে।

আরেক শ্রমিক শাহজাহান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাস পরিবার নিয়ে খাদ্যাকষ্টে কেটেছে তাদের দিন। তখন চাঁদাবাজরা কোন শ্রমিকের পাশে দাড়ায় নাই। শ্রমিকরা খেয়ে আছে না মরে গেছে তার খবরও কেউ নেয় নাই। তাহলে বছরের
পর বছর বিভিন্ন তহবিলের নামে যে চাঁদা উঠানো হয় তা যায় কোথায় , কারা শ্রমিকদের কষ্টের টাকা ভোগ করে ? একই কথা জানান, ভুক্তভোগী কয়েকশত শ্রমিক, তারা চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পেতে চায় ।

জেলা অটো চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক এসএম লাবু জানান, সড়কে লাঠি হাতে জোড় করে চাাঁদা উঠানো এবং চাঁদা না পেলে শ্রমিকদের নির্যাতন করা এটা দেশের অন্য কোথাও আছে বলে তার জানা নেই। চাঁদা বন্ধের দাবীতে সকল
শ্রমিকরা অনেকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু প্রশাসন এবিষয়ে তেমন কোন ভূমিকা পালন করছেনা। সম্প্রতি চাঁদা বন্ধে মানবন্ধন, বিক্ষোভ ও পৌর মেয়রের পুত্তলিকা দাহ সহ জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। তাই দরিদ্র শ্রমিকদের বাঁচাতে দ্রুত এই অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা
হবে। ট্রাক ও অটো টোল আদায়কারি (চাঁদাবাজ) মোহাম্মদ বিপ্লবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি শুধুমাত্র টোল আদায়কারি হিসেবে কাজ করি। স্থানিয় যুবলীগনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর নির্দেশে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
গোবিন্দনগর বিসিক মোড় এলাকার দুটি পয়েন্টের প্রতিদিনের চাঁদার টাকা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ভাইকে দেয়া হয়। বাবু ভাই জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক সমির দত্তের আওতায় কাজ করে, এছাড়া আরো কয়েকজন নেতা এর সাথে জড়িত।
এবিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নাই। আর জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল জানান, দলের পরিচয়ে বা প্রভাব খাটিয়ে কেউ যদি কোন অপকর্ম করে থাকে সে দায়ভার তার
নিজের। এবিষয়ে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন জানান, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে পৌরটোল আদায় করা হয়। তবে অন্য নামে পৌর এলাকায় কেউ টোল আদায় বা চাঁদাবাজির কথা তিনি শুনেছেন। অন্য সংগঠনের নামে পৌর এলাকায় কেউ টোল করে
থাকলে আইনশৃঙ্খলা সংস্থার সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হেসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সড়ক ও মহাসড়কে সরকার সকল প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ ও অবৈধ ঘোষনা করছেন।
এরপরও যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ প্রভাব খাটিয়ে বা দলীয় পরিচয়ে চাঁদা উত্তলোন করে । তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইন অমান্যকারি কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।