সোমবার (১২ ডিসেম্বর) নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য।
তারা হলেন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
একদিন পর রোববার (১১ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পাঁচ সংসদ সদস্য। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ বিদেশে অবস্থান করায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সংসদে উপস্থিত হননি।
এরই মধ্যে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের মধ্যে পদত্যাগ করা ছয়জনের আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সংসদ সচিবালয়।
ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আলাদা আলাদা গেজেটে বলা হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর পূর্বাহ্নে পদত্যাগ করায় একাদশ সংসদের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
শূন্য ঘোষিত আসনগুলো হচ্ছে, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও এবং সংরক্ষিত নারী আসন (মহিলা আসন-৫০)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের স্ক্যান করা সই ও ইমেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্র ‘স্বাক্ষরযুক্ত’ বিবেচিত না হওয়ায় তাকে আবার জমা দিতে হবে। তিনি এক সপ্তাহ পর অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে স্ব-স্বাক্ষরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে বিএনপির পদত্যাগীরা জানিয়েছেন।