ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সংস্করণ::নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যেতেন না এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ভদ্রলোকের (ইউনূস) যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে কেন তিনি চিঠি ভিক্ষা করে বেড়াবেন? কেউ যদি এখন কর না দেয়, শ্রমিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, লেবার কোর্টে যদি মামলা হয়, তাহলে আমাদের কি কোনো হাত আছে বন্ধ করার? আপনারাই বিচার করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা চলমান মামলা। আমরা চলমান কোনো মামলা নিয়ে আলোচনাও করি না। বাইরে থেকে চিঠি এনে মামলা প্রত্যাহার করার কী বা আমি মামলা প্রত্যাহার করার কে? আদালত কিন্তু স্বাধীন।

বিবৃতিদাতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দেশে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে তাকে নিয়ে কি সরকার নাচত? এসব বিবৃতিতে মামলা স্থগিত হবে না। আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করবে। আদালতকে ভয় পেলে চলবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

তিনি বলেন, ‘আমি বলব— বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার করেন। এক্সপার্ট পাঠান।’

এ সময় ড. ইউনূসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের অর্থ মারেন, ট্যাক্স ফাঁকি দেবেন আর লম্বা লম্বা কথা বলেন। আজব এ দেশ। এটাই বাংলাদেশের রূপ?’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশি নানান তৎপরতার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আজকে নীতি কথা বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময়ে তাদের নীতি কথা কোথায় ছিল। ভোট চুরির মাধ্যমে যাদের উত্থান আজ তাদের মুখেই সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে হচ্ছে।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৬:১২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

অনলাইন সংস্করণ::নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যেতেন না এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ভদ্রলোকের (ইউনূস) যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে কেন তিনি চিঠি ভিক্ষা করে বেড়াবেন? কেউ যদি এখন কর না দেয়, শ্রমিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, লেবার কোর্টে যদি মামলা হয়, তাহলে আমাদের কি কোনো হাত আছে বন্ধ করার? আপনারাই বিচার করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা চলমান মামলা। আমরা চলমান কোনো মামলা নিয়ে আলোচনাও করি না। বাইরে থেকে চিঠি এনে মামলা প্রত্যাহার করার কী বা আমি মামলা প্রত্যাহার করার কে? আদালত কিন্তু স্বাধীন।

বিবৃতিদাতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দেশে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে তাকে নিয়ে কি সরকার নাচত? এসব বিবৃতিতে মামলা স্থগিত হবে না। আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করবে। আদালতকে ভয় পেলে চলবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

তিনি বলেন, ‘আমি বলব— বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার করেন। এক্সপার্ট পাঠান।’

এ সময় ড. ইউনূসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের অর্থ মারেন, ট্যাক্স ফাঁকি দেবেন আর লম্বা লম্বা কথা বলেন। আজব এ দেশ। এটাই বাংলাদেশের রূপ?’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশি নানান তৎপরতার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আজকে নীতি কথা বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময়ে তাদের নীতি কথা কোথায় ছিল। ভোট চুরির মাধ্যমে যাদের উত্থান আজ তাদের মুখেই সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে হচ্ছে।’