নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজনে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সি সচিব বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে। সে সময় রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব ধরনের অগ্রগতি বিষয়ে তা অবহিত করা হবে। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকলে তা কমিশন শুনবেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে তফসিল দিয়ে আসা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। এসংক্রান্ত কমিশন সভাই এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাসময়ে পরিপত্র জারি করে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অবশ্যই পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যাতে ভোট দিতে পারে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরিপত্র জারি করা হবে।’
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এ পর্যন্ত কমিশনকে মেইলে এনডিআই, ইইউ ও কমনওয়েলথ প্রতিষ্ঠান কনফার্ম করে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটা প্রি-অ্যাসেসমেন্ট করে গেছেন। ইইউ আগেই বলেছে এবং অতিসম্প্রতি কমনওয়েলথের একটি টিম ইসির সাক্ষাতের সময় চেয়েছে।
২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে আবেদনের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সেলের মাধ্যমে সমন্বয়ের পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে এরা কতজন আসবে।’
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, শুক্র ও শনিবার ডিসি-এসপির প্রশিক্ষণ। এরপর ১২-১৪ নভেম্বরের কোন সময়ে তফসিল হতে পারে? জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তখন গণমাধ্যমে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, তার সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনী মালামালও ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।’