সত্যিকারের মেধাবীদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে কম যোগ্যতা সম্পন্ন ও স্বল্প মেধাবীরা কোটা পদ্ধতির কারণে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ পাচ্ছে। কোটা ব্যবস্থার কারণে এভাবে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের সরকারী চাকুরী থেকে লাগাতার ভাবে বঞ্চিত করা হলে প্রশাসনে এক সময় নিশ্চিত ভাবেই স্থবিরতা নেমে আসবে। রাষ্ট্র ও প্রশাসনের নিজ স্বার্থেই কোটা পদ্ধতির আমূল সংস্কার করে যোগ্যতার ভিত্তিতে মেধানুসারে চাকুরীর নিশ্চয়তা দিতে হবে। সুতরাং সন্তানসম শিক্ষার্থীদের কোটা প্রথা বাতিলের দাবী যৌক্তিক ও ন্যায্য বলে মনে করে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে উনসত্তরের ১১ দফা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশ যুব মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক এমপি ইব্রাহিম খলিলের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে, দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে, পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম অতি: মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ , সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, কেন্দ্রীয় নেতা নুর আলম, আব্দুল আলিম প্রমুখ ।
ইব্রাহিম খলিলের স্মৃতিচারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি ছিলেন উনসত্তরের ১১দফা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ও জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল ১৯৭৮ সালে যুব মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তৎকালীন মুসলিম লীগের সভাপতি খান-এ-সবুর তাকে সংসদে মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের হুইপের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে মাত্র ৩৮বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। আকস্মিক ভাবে মৃত্যুবরণ না করলে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যেতে পারতেন। সভা শেষে মরহুম ইব্রাহিম খলিলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।