ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কোটা নিয়ে আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন: রিজভী

কোটা নিয়ে আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মোনাজাতের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। এসময় খালেদা জিয়াসহ দলের অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

 কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের ইচ্ছা ও আদালতের ইচ্ছা এক হয় কি করে? যে কোটা আন্দোলনে সরকার কোটা বাতিল করেছিল সেটি তখন কোর্টও রায় দিয়েছিলো। তাহলে এখন আবার আদালতকে দিয়ে সেটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধা চান না। একটি মেধাবী গোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এটাই গোটা বিশ্বের নীতি। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই প্রক্রিয়াটি নষ্ট করেছেন আদালতকে দিয়ে। আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। শেখ হাসিনার মনে ক্ষোভ রয়ে গেছে।যেমন তিনি ক্ষোভের কারণে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন।তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। আমি সরকারকে বলবো, অবিলম্বে ছাত্রদের দাবি মেনে নিন। না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।

রিজভী বলেন, এই সরকার বিসিএস এর ভাইভা পরীক্ষায় ২০০ নাম্বার রাখা হয়েছে যাতে নাম্বার বাড়িয়ে দিয়ে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া যায়। এভাবে অনাচার তৈরি করেছে সরকার। কিন্তু তাদের লুণ্ঠনের রাজত্বের বিরুদ্ধে জাগরণ তৈরি হয়েছে। জনগণ মেনে নেয়নি তাদেরকে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলো যতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে আমরা স্বাধীন দেশে বাস করেও স্বাধীন নই। এ কথাটিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। এরমাধ্যমে তিনি গোটা জাতিকে অবজ্ঞা করেছেন। অপমান করেছেন। এর আগে এমন দাসের মনোভাবাপন্ন কথা আমরা কখনো শুনিনি। আর আওয়ামী সরকার কখনো চাইনি দেশটা মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সরকার ঋণ পাচ্ছে না। চীনসহ কোনো দেশ শেখ হাসিনার সরকারকে আর ঋণ দিচ্ছে না। এটা হলো সরকারের ভুল ও লুটেরা নীতির কারণে।

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি ধুঁকছেন। আমরা মোনাজাত করছি আল্লাহ যেন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে  পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

কোটা নিয়ে আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন: রিজভী

আপডেট টাইম ০৫:১৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

কোটা নিয়ে আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মোনাজাতের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। এসময় খালেদা জিয়াসহ দলের অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

 কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের ইচ্ছা ও আদালতের ইচ্ছা এক হয় কি করে? যে কোটা আন্দোলনে সরকার কোটা বাতিল করেছিল সেটি তখন কোর্টও রায় দিয়েছিলো। তাহলে এখন আবার আদালতকে দিয়ে সেটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধা চান না। একটি মেধাবী গোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এটাই গোটা বিশ্বের নীতি। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই প্রক্রিয়াটি নষ্ট করেছেন আদালতকে দিয়ে। আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। শেখ হাসিনার মনে ক্ষোভ রয়ে গেছে।যেমন তিনি ক্ষোভের কারণে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন।তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। আমি সরকারকে বলবো, অবিলম্বে ছাত্রদের দাবি মেনে নিন। না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।

রিজভী বলেন, এই সরকার বিসিএস এর ভাইভা পরীক্ষায় ২০০ নাম্বার রাখা হয়েছে যাতে নাম্বার বাড়িয়ে দিয়ে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া যায়। এভাবে অনাচার তৈরি করেছে সরকার। কিন্তু তাদের লুণ্ঠনের রাজত্বের বিরুদ্ধে জাগরণ তৈরি হয়েছে। জনগণ মেনে নেয়নি তাদেরকে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলো যতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে আমরা স্বাধীন দেশে বাস করেও স্বাধীন নই। এ কথাটিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। এরমাধ্যমে তিনি গোটা জাতিকে অবজ্ঞা করেছেন। অপমান করেছেন। এর আগে এমন দাসের মনোভাবাপন্ন কথা আমরা কখনো শুনিনি। আর আওয়ামী সরকার কখনো চাইনি দেশটা মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সরকার ঋণ পাচ্ছে না। চীনসহ কোনো দেশ শেখ হাসিনার সরকারকে আর ঋণ দিচ্ছে না। এটা হলো সরকারের ভুল ও লুটেরা নীতির কারণে।

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি ধুঁকছেন। আমরা মোনাজাত করছি আল্লাহ যেন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।