কোটা নিয়ে আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মোনাজাতের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। এসময় খালেদা জিয়াসহ দলের অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
রিজভী বলেন, এই সরকার বিসিএস এর ভাইভা পরীক্ষায় ২০০ নাম্বার রাখা হয়েছে যাতে নাম্বার বাড়িয়ে দিয়ে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া যায়। এভাবে অনাচার তৈরি করেছে সরকার। কিন্তু তাদের লুণ্ঠনের রাজত্বের বিরুদ্ধে জাগরণ তৈরি হয়েছে। জনগণ মেনে নেয়নি তাদেরকে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলো যতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে আমরা স্বাধীন দেশে বাস করেও স্বাধীন নই। এ কথাটিই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। এরমাধ্যমে তিনি গোটা জাতিকে অবজ্ঞা করেছেন। অপমান করেছেন। এর আগে এমন দাসের মনোভাবাপন্ন কথা আমরা কখনো শুনিনি। আর আওয়ামী সরকার কখনো চাইনি দেশটা মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সরকার ঋণ পাচ্ছে না। চীনসহ কোনো দেশ শেখ হাসিনার সরকারকে আর ঋণ দিচ্ছে না। এটা হলো সরকারের ভুল ও লুটেরা নীতির কারণে।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি ধুঁকছেন। আমরা মোনাজাত করছি আল্লাহ যেন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।