নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এখনও দেড় কোটির বেশি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ করা হয়নি। দেশের প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ ভোটারের বিপরীতে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করেছে। বুধবার (২ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৩টি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৪টি, কুমিল্লা অঞ্চলে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৫টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫টি, খুলনা অঞ্চলে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৯৯টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৪০১টি, সিলেট অঞ্চলে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৯টি, রাজশাহী অঞ্চলে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৭টি, রংপুর অঞ্চলে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৫টি, বরিশাল অঞ্চলে ৮ লাখ ৫১ হাজার ২৬০টি এবং ফরিদপুর অঞ্চলে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৯২টি কার্ড রয়েছে
““““““`
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে : কমিটির আহ্বায়ক
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্য প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।’
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
কী যৌক্তিকতা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।’
চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকও করেন।
ওই দিনই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোখলেস উর রহমান সদস্য সচিব। এছাড়া সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
সূত্র : ইউএনবি