ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

‘তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি’

সারাদিন ডেস্ক::বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আইনজীবী বলেছেন, মি. রহমান বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই ব্রিটেনে বসবাস করছেন।

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করে তিনি অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেননি এবং অভিবাসন আইনের মধ্যেই মি. রহমান বৈধভাবে লন্ডনে অবস্থান করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেন যে “তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করে তার নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন।”

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং তারেক রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

এজন্যে শাহরিয়ার আলমকে একটি আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মি. কামাল জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পর্কে তার মক্কেল তারেক রহমান জানতে পেরেছেন এবং জানার পরেই তিনি তার আইনজীবীকে বলেছেন, এই লিগাল নোটিশ পাঠাতে।

“এই লিগাল নোটিশে শাহরিয়ার আলম সাহেবকে আমরা বলেছি- আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা এবং বানোয়াট। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে শাহরিয়ার আলম সাহেবের এই বক্তব্যে বাংলাদেশে ও বিদেশে মি. তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদার হানি হয়েছে।”

তারেক রহমানের আইনজীবী বলেন, “নোটিশ পাওয়ার দশ দিনের মধ্যে জনাব শাহরিয়ার আলমকে প্রমাণ করতে হবে যে তারেক রহমান পাসপোর্ট বর্জন করেছেন, অথবা তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। যদি কোনটাই না করেন তাহলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।”

“লিগাল নোটিশের মাধ্যমে তিনি এটাই প্রমাণ করেছেন যে উনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি”- বলেন তারেক রহমানের আইনজীবী।

তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি কি বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের যৌথ নাগরিকত্ব নিয়ে এখানে বসবাস করছেন?

বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নের জবাবে মি. কামাল জানান, “তিনি সবসময়ই বাংলাদেশের একজন নাগরিক ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।”

“লন্ডন, আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বে কেউ অবৈধভাবে বসবাস করতে পারে না। চিকিৎসার জন্যে তিনি বিগত ৯ বছর ধরে ব্রিটেনে আছেন এবং বৈধভাবেই তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েই তিনি বৈধভাবে ব্রিটেনে বসবাস করছেন,” বলেন তিনি।

তারেক রহমান ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তার আইনজীবী বলেন, “নাগরিকত্ব গ্রহণেরতো প্রশ্নই আসে না। তিনি বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অতএব অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রশ্নই আসে না। তিনি ওই দেশের অভিবাসন আইন অনুযায়ী বৈধভাবে ওখানে আছেন। চিকিৎসা শেষ হলে তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন।”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “২০১২ সালে তারেক জিয়া তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছে। সে কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়?”

তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে যখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এরকম একটা বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তখন তিনি নিজে কেন তার অবস্থান স্পষ্ট করছেন না- এই প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, “এখানে কোন অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি নেই।”

“কারণ তিনি চিকিৎসার জন্যে বিদেশে অবস্থান করছেন। তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। যেহেতু আমাদের দলের চেয়ারপার্সন কারাগারে আছেন সেই হিসেবে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে মি. রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন,” বলেন তিনি।

তারেক রহমানের ‘নাগরিকত্ব বর্জন’ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি বাংলাদেশী পাসপোর্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি প্রদর্শন করুন।” সূত্র: বিবিসি বাংলা

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

‘তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি’

আপডেট টাইম ০৫:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আইনজীবী বলেছেন, মি. রহমান বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই ব্রিটেনে বসবাস করছেন।

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করে তিনি অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেননি এবং অভিবাসন আইনের মধ্যেই মি. রহমান বৈধভাবে লন্ডনে অবস্থান করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেন যে “তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করে তার নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন।”

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং তারেক রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

এজন্যে শাহরিয়ার আলমকে একটি আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মি. কামাল জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পর্কে তার মক্কেল তারেক রহমান জানতে পেরেছেন এবং জানার পরেই তিনি তার আইনজীবীকে বলেছেন, এই লিগাল নোটিশ পাঠাতে।

“এই লিগাল নোটিশে শাহরিয়ার আলম সাহেবকে আমরা বলেছি- আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা এবং বানোয়াট। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে শাহরিয়ার আলম সাহেবের এই বক্তব্যে বাংলাদেশে ও বিদেশে মি. তারেক রহমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদার হানি হয়েছে।”

তারেক রহমানের আইনজীবী বলেন, “নোটিশ পাওয়ার দশ দিনের মধ্যে জনাব শাহরিয়ার আলমকে প্রমাণ করতে হবে যে তারেক রহমান পাসপোর্ট বর্জন করেছেন, অথবা তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। যদি কোনটাই না করেন তাহলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।”

“লিগাল নোটিশের মাধ্যমে তিনি এটাই প্রমাণ করেছেন যে উনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি”- বলেন তারেক রহমানের আইনজীবী।

তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি কি বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের যৌথ নাগরিকত্ব নিয়ে এখানে বসবাস করছেন?

বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নের জবাবে মি. কামাল জানান, “তিনি সবসময়ই বাংলাদেশের একজন নাগরিক ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।”

“লন্ডন, আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বে কেউ অবৈধভাবে বসবাস করতে পারে না। চিকিৎসার জন্যে তিনি বিগত ৯ বছর ধরে ব্রিটেনে আছেন এবং বৈধভাবেই তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েই তিনি বৈধভাবে ব্রিটেনে বসবাস করছেন,” বলেন তিনি।

তারেক রহমান ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তার আইনজীবী বলেন, “নাগরিকত্ব গ্রহণেরতো প্রশ্নই আসে না। তিনি বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অতএব অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রশ্নই আসে না। তিনি ওই দেশের অভিবাসন আইন অনুযায়ী বৈধভাবে ওখানে আছেন। চিকিৎসা শেষ হলে তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন।”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “২০১২ সালে তারেক জিয়া তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছে। সে কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়?”

তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে যখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এরকম একটা বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তখন তিনি নিজে কেন তার অবস্থান স্পষ্ট করছেন না- এই প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, “এখানে কোন অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি নেই।”

“কারণ তিনি চিকিৎসার জন্যে বিদেশে অবস্থান করছেন। তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। যেহেতু আমাদের দলের চেয়ারপার্সন কারাগারে আছেন সেই হিসেবে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে মি. রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন,” বলেন তিনি।

তারেক রহমানের ‘নাগরিকত্ব বর্জন’ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি বাংলাদেশী পাসপোর্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি প্রদর্শন করুন।” সূত্র: বিবিসি বাংলা