ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক বা জাতীয় সরকার করুন

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের বিধান করতে পারে। তিনি এবারের বাজেটকে ভাঁওতাবাজির বাজেট বলে উল্লেখ করেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল ’৭১-এ বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন।

মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নেজামে ইসলামীর সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, আবদুর রউফ ইউসুফী, সৈয়দ নসরুল হাসান, আকবর হোসেন পাঠান প্রমুখ।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে জেলখানায় আটক রাখা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এই পরিস্থিতিতে কী করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে? তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্ন উঠলে এই সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে নেই। অথচ তাঁরাই মাত্র ১৫ মিনিটে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন সংসদে উপনেতা ছিলাম, সে সময় ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এক দিনে তাদের (আওয়ামী লীগ) দাবি বাস্তবায়ন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করি এবং মাত্র চার মাসের মধ্যে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিলাম।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের বিধান করতে পারে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী এবার আগের চেয়ে আরও বিশাল আকারের বাজেট দিয়েছেন। কিন্তু বিগত বছর মহাবাজেট বাস্তবায়ন করতে পারেননি, গতবারের সংশোধিত বাজেট তার প্রমাণ।

বি. চৌধুরী বলেন, তা ছাড়া বাজেটে যে বিরাট অঙ্কের ঘাটতি দেখানো হয়েছে, তা পূরণ করতে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে গতবারের চেয়ে দেড় গুণ ঋণ নেবে বলে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটে নতুন শিল্প বিনিয়োগের উদ্যোগ নেই। নতুন কর্মসংস্থানের কোনো ইঙ্গিত নেই। বিশালাকার বাজেট দিয়ে ভোটারদের ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, গতবারের বাজেটে ট্যাক্স, খাজনা বাড়বে না বলা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পেট্রল ও যাতায়াত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়েছে। এরপরও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, গত ১০ বছরে নাকি জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, দ্রব্যমূল্য আর ট্যাক্সের চাপে মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ। বাজেটে দুর্নীতি দমনের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।

আ স ম আবদুর রব ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বলেন, পাখির মতো মানুষ মারার বিচার করতে হবে। সবাইকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রমাণ নেই বলে একজন এমপিকে রক্ষা করা হয়েছে, অপরদিকে ১৬৭ জন মানুষকে বিনা বিচারে গুলি করে মারা হয়েছে। তিনি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই কারার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক বা জাতীয় সরকার করুন

আপডেট টাইম ১১:২৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের বিধান করতে পারে। তিনি এবারের বাজেটকে ভাঁওতাবাজির বাজেট বলে উল্লেখ করেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল ’৭১-এ বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন।

মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নেজামে ইসলামীর সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, আবদুর রউফ ইউসুফী, সৈয়দ নসরুল হাসান, আকবর হোসেন পাঠান প্রমুখ।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে জেলখানায় আটক রাখা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এই পরিস্থিতিতে কী করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে? তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্ন উঠলে এই সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে নেই। অথচ তাঁরাই মাত্র ১৫ মিনিটে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন সংসদে উপনেতা ছিলাম, সে সময় ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এক দিনে তাদের (আওয়ামী লীগ) দাবি বাস্তবায়ন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করি এবং মাত্র চার মাসের মধ্যে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিলাম।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের বিধান করতে পারে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী এবার আগের চেয়ে আরও বিশাল আকারের বাজেট দিয়েছেন। কিন্তু বিগত বছর মহাবাজেট বাস্তবায়ন করতে পারেননি, গতবারের সংশোধিত বাজেট তার প্রমাণ।

বি. চৌধুরী বলেন, তা ছাড়া বাজেটে যে বিরাট অঙ্কের ঘাটতি দেখানো হয়েছে, তা পূরণ করতে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে গতবারের চেয়ে দেড় গুণ ঋণ নেবে বলে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটে নতুন শিল্প বিনিয়োগের উদ্যোগ নেই। নতুন কর্মসংস্থানের কোনো ইঙ্গিত নেই। বিশালাকার বাজেট দিয়ে ভোটারদের ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, গতবারের বাজেটে ট্যাক্স, খাজনা বাড়বে না বলা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পেট্রল ও যাতায়াত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়েছে। এরপরও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, গত ১০ বছরে নাকি জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, দ্রব্যমূল্য আর ট্যাক্সের চাপে মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ। বাজেটে দুর্নীতি দমনের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।

আ স ম আবদুর রব ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বলেন, পাখির মতো মানুষ মারার বিচার করতে হবে। সবাইকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রমাণ নেই বলে একজন এমপিকে রক্ষা করা হয়েছে, অপরদিকে ১৬৭ জন মানুষকে বিনা বিচারে গুলি করে মারা হয়েছে। তিনি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই কারার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।