ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরলেন স্বামী সিআইডিকে মারধর করে আসামি নিয়ে পালাল স্থানীয়রা, গাড়ি ভাঙচুর বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত, ১৭২ জনের ছানি অপারেশনে স্বাধীনতাবিরোধী আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে গনতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা- শামসুজ্জামান দুদু মানুষ নতুন নেতৃত্বের জন্য মুখিয়ে আছে- বালিয়াডাঙ্গীর পথসভায়- ফারুক হাসান মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা

খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সারাদিন ডেস্ক::মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন আইনজীবী রওশন আরা সিকদার ডেইজি। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

শাহবাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাফর আলী গত ১ জুলাই খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।’

অন্যদিকে মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?’

এসব বক্তব্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ১শ’ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরলেন স্বামী

খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট টাইম ০৫:৫৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুলাই ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন আইনজীবী রওশন আরা সিকদার ডেইজি। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

শাহবাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাফর আলী গত ১ জুলাই খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।’

অন্যদিকে মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?’

এসব বক্তব্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ১শ’ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।