আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::মায়ের কাছে শুনেছে তার পিতার নাম জালাল উদ্দিন। এ বিশ্বাসকে আকড়ে ধরে বড় হয়েছে আলাল। শিশুকাল পেড়িয়ে এখন যৌবনে পা দিয়েছে সে। ১৭ বছর বয়সেও পিতার স্বীকৃতি পায়নি সে। অনাহারে অর্ধাহারে মানুষের বাড়ীতে দিনমজুরী করে জীবন যাপন করছে আলাল। মমতাময়ী মা মারুফা খাতুন অন্যত্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় নানা মনসুর আলীর বাড়ীতে অনাদও অবহেলায় বেড়ে ওঠে সে। প্রাইমারী স্কুল পেরিয়ে হাই স্কুলে যায় আলাল এবং এবারে হাটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। গরীব নানার পক্ষে আলালের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব না হওয়ায় অসহায় আলালকে দিনমজুরীও করতে হয় লেখাপড়ার ফাকে ফাকে। আলালের মনে প্রশ্ন, তার পিতা কি আদৌ তাকে স্বীকৃতি দেবেনা? তাই সে সম্প্রতি পিতৃত্বের পরিচয় প্রতিষ্ঠার দাবীতে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
জানা যায়, ১৯৯৯ ইং সালে অভাবের কারনে উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের মনসুর আলীর কন্যা প্রতিবেশি জালাল উদ্দিনের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করত। বাড়ীতে লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ীর মালিক জালাল উদ্দিন কতৃক ধর্ষনের শিকার হয় মারুফা। এভাবে মেলামেশা অব্যাহত থাকলে অন্তসত্বা হয়ে পড়ে মারুফা। যার ফলশ্রুতিতে জন্ম নেয় আলাল। এর আগে স্থানীয়ভাবে শালিস দরবার এমনকি আদালতে মামলা এবং পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওযায় মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরে আদালতে স্বাক্ষী হাজির না হওয়ায় মামলাটি স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে বিচারের বাইওে থেকে যায় মালাটি। এদিকে নানা চাড়াই উৎরাই পেরিয়ে আলাল নিজের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের দ্বারস্থ হলে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায় অবশেসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে আলাল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টির তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে প্রেরন করেন। বর্তমানে বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে বিচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডাব্লিউএম রায়হান শাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে, ইনশা আল্লাহ এর একটি সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হবে।\
সংবাদ শিরোনাম
ইউএনও’র কাছে আবেদন ১৭ বছরেও পিতৃ পরিচয় পায়নি হতভাগ্য আলাল
- সংবাদ সারাদিন ডেস্ক :
- আপডেট টাইম ০১:৫৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
- ১৬৫ বার
Tag :